প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আউটসোর্সিং এ ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের আয় শতকোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। বিপিও শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধন করে তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে প্রতি বছর বিপিওতে ২ লাখ কর্মসংস্থান হবে। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকে শীর্ষে রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দুদিনের আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সজীব ওয়াজেদ বলেন, দ্বিতীয়বারের মতো
ঢাকায় বিপিও সম্মেলন আয়োজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। গত সাত বছরে প্রযুক্তি
খাতে বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, যা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে
বাংলাদেশকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। স্থানীয় উন্নয়ন না হলে
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা সম্ভব হবে না। আর তাই
এবারের বিপিও সামিটের স্লোগান ঠিক করা হয়েছে, স্থানীয় অভিজ্ঞতা, বৈশ্বিক
ব্যবসা।
স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নে কাজ শুরু করেছিলেন। বলেন, বিপিও সেক্টরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দেশ আর বিপিও ইন্ড্রাস্ট্রিকে বর্তমান সরকার সরাসরি সহায়তা করছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্ট্রা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়। বাংলাদেশে এখন শতভাগ টেলি কভারেজ রয়েছে। শিক্ষায় ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার এখন পাঠ্যবইয়ের ইলেকট্রনিক ভার্সন তৈরি করছে।
এছাড়া শুধু রাজধানীতেই নয় সারাদেশে সরকার ১০টি আইটি ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করবে। যেখান থেকে বিপিও এর জন্য তৈরি হবে দক্ষ জনবল।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ‘গেস্ট অব অনার’ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার (আইটিইউ) মহাপরিচালক হাওলিন ঝাও।
আরো উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, আইসিটি বিভাগের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য)-এর সভাপতি আহমাদুল হক প্রমুখ।