কিপটে বোলিং। প্রয়োজনের সময় উইকেট। ব্যাট হাতে একের পর এক নজরকাড়া ইনিংস। বিপিএলে থামানোই যাচ্ছেন না সাকিব আল হাসানকে। শুক্রবার রাতের ম্যাচে অধিনায়কের অলরাউন্ড নৈপুন্যে জিতেই চলেছে ফরচুন বরিশাল।
আগেই কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করা বরিশাল লিগপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মিনিস্টার ঢাকাকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে। সাকিব খেলেন ২৯ বলে ৫১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১২৯ রানের লক্ষ্য ২৭ বল আগেই টপকে যায় বরিশাল।
২৮ বলে ২৮ রানে অপরাজিত থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৫ বলে ৩৭ রান করে আউট হন বরিশালের ইনফর্ম ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সাকিবই। এর আগে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২১ রান খরচায় তুলে নেন একটি উইকেট। এ নিয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে এ অলরাউন্ডারের হাতে উঠল সেরার পুরস্কার।
বিপিএল শুরুর দিকে রান পাচ্ছিলেন না সাকিব। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোম সিরিজ যতই কাছে আসছে ততই জ্বলে উঠছেন সাকিব। সবশেষ চার ইনিংসে তিনটি ফিফটি এ বাঁহাতির। আজ মেরেছেন ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা।
বিপিএলের খেলা দেখতে আজ প্রথম মাঠে এসেছিলেন সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির। নিরাশ করেননি এ অলরাউন্ডার। দারুণ সব শটে তুলে নেন ফিফটি। দলকে জিতিয়ে ছাড়েন মিরপুরের ২২ গজ। আইপিএল নিলামের আগে সাকিবের ব্যাটিং ফর্ম দিচ্ছে ভালো কিছুর বার্তা।
বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১২৮ রানে থামে মাহমুদউল্লাহ-তামিমদের ইনিংস। মুজিব-সাকিবের ঘুর্ণিতে যেখানে পুরো দল কাবু সেখানে ৬৬ রানের ইনিংস খেলে লজ্জার স্কোরের হাত থেকে বাঁচিয়েছেন তামিম।
শুরুতে তোপের মুখে পড়ে দলটি। সাত রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দলীয় পঞ্চাশের আগেই হারান আরও দুজনকে।
মুজিব-সাকিবের ঘুর্ণিতে নাকাল ঢাকাকে আরও ব্যাকফুটে রেখেছে ডুয়াইন ব্রাভো। ক্যারিবিয়ান এই মিডিয়াম পেসার চার ওভারে ১৮ রান খরচায় নিয়েছেন দুটি উইকেট।
আসরে রান খরায় ভুগতে থাকা মোহাম্মদ নাঈম ওপেনে নেমে করেন ৯ বলে ৬ রান। শফিউলের বলে নাঈম ফেরার পর তিনে নামা জহুরুল ফিরেছেন মুজিবের বলে। শট খেলতে গিয়ে লাইন মিস করা ডানহাতি ব্যাটার করেছেন দুই রান।
৫০ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে রানের গতি চালিয়ে রাখেন তামিম ইকবাল। অপরপাশে, একে একে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ (৩), শামসুর রহমান (৩), কাইস আহমেদরা।
দলীয় শতরান পার করে তামিম ফিরলে অল্পতেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে ঢাকা। সেখানে ২৭ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলে ১২৮ রানের সংগ্রহ আনেন শুভাগত হোম।
ঢাকার ৯ উইকেট হারানোর দিনে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন সাকিব-মুজিবরা। ৪ ওভারে ১৫ রান খরচায় জহুরুলকে ফিরিয়েছেন আফগান স্পিনার মুজিব। সাকিব নিয়েছেন একটি উইকেট। দুটি করে উইকেট তুলেছেন পেসার শাফিউল ও ব্রাভো ও রানা।