‘৯৯৯’ নম্বরের সম্প্রসারিত সেবার উদ্বোধন হয়েছে মঙ্গলবার। এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের দোরগোড়ায় ফায়ার সার্ভিস, এ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পুলিশী সেবা পৌঁছানো সম্ভব হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশা প্রকাশ করা হয়েছে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এদিন সকালে রাজধানীর আব্দুল গনি রোডে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। দেশের যে কোনো নাগরিক জরুরি প্রয়োজনে বিনামূল্যে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশ, এ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে ৯৯৯ কল সেন্টারে সরাসরি ফোন, লাইভ চ্যাট, বিভিন্ন তথ্য খোঁজার জন্য সার্চ অপশনও ব্যবহার করা যাবে। শুধু তাই নয়, পুলিশ বিভাগের একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত দল দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এই সেবা দিয়ে যাবেন। আমরা জানি, গত বছর থেকেই কালিয়াকৈর হাইটেক পার্কে পরীক্ষামূলকভাবে চলছিল জাতীয় হেল্পডেক্স ৯৯৯। সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সেবাটি চালু করে। এই সময়ে প্রায় ৩৩ লাখ মানুষ হেল্পডেস্কে কল করেছেন। যাদের ৬৪ শতাংশ পুলিশি সেবা, ৩১ শতাংশ ফায়ার সার্ভিস সেবা এবং ৪ শতাংশেরও বেশি মানুষ এ্যাম্বুলেন্স সেবা নিয়েছে। এই পরিসংখ্যান থেকে নিশ্চিত করেই বলা যায়- এরই মধ্যে সেবাটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে। আমরাও নিশ্চিত করেই বলতে পারি, আজকের পর থেকে এই সেবা আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে। কারণ বহুল জনসংখ্যার এই দেশে সাধারণ মানুষকে কিছু কিছু সেবা পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। ‘৯৯৯’ এ খুব সহজেই তারা সেইসব সেবা নিতে পারবে। তবে উদ্যোক্তাদের একটি বিষয়ে খুব বেশি মনোযোগ রাখতে হবে; কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই সেবা থেকে সাধারণ মানুষ যেনো মুখ ফিরিয়ে না নেয়। আমরাও চাই সরকারের এ উদ্যোগ সাফল হোক। ‘৯৯৯’ হয়ে উঠুক জনগণের বিপদের বন্ধু।