চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিপজ্জনক পরিস্থিতির আগেই সতর্কতা জরুরি

করোনাভাইরাসের প্রকোপ আবারও বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকদফা বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন: মহামারির সংক্রমণ হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়া এবং শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ৬৮৫তম দিনে শেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৯২ জন।

এই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার ৪৩৪ জন। শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ। আগের দিন বৃহস্পতিবার শনাক্ত হয়েছিল ১০ হাজার ৮৮৮ জন জন। এখন পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৬১৬ জন।’

এই তথ্যেও সংক্রমণ বাড়ার আঁচ পাওয়া যায়। এর আগে কিছুদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিম্নমুখী ছিল। বেশ কিছুদিন ধরেই এই হার ঊর্ধ্বমুখী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কথায় এর প্রমাণ মেলে। তিনি বলেছেন: দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতি ঠেকাতে বিশেষ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অফিস-আদালতে অর্ধেক জনবল দিয়ে কাজ করানো হবে। শিগগিরই এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন: করোনা রোগীতে এক তৃতীয়াংশ হাসপাতালের বেড ভরে গেছে। এভাবে বাড়লে ঢাকা শহরের কোনো হাসপাতালেই আর বেড পাওয়া যাবে না। হাসপাতালে যে অবস্থা চলছে সেটা আশঙ্কাজনক। আগে থেকেই সর্তক হতে হবে। ঢাকা শহরের সিটি কর্পোরেশনের ভেতরেই এক হাজার মানুষ ভর্তি হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে দেশের হাসপাতালগুলোতে ‘আশঙ্কাজনকহারে’ রোগী ভর্তি হচ্ছেন। প্রতিদিনিই রোগী শনাক্তের হার বাড়ছে, যদিও মৃত্যুহার এখনও কিছুটা কম। সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর কারণ আমরা এখনও সেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছি না। সরকার ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়েছে, তারপরও মানুষ সেটা মানছে না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বেশি দিন বন্ধ রাখা জাতীয় জীবনের জন্য ক্ষতিকর। এরপরও জীবন রক্ষার্থে আবারও বন্ধ করতে হয়েছে। বিগত বছর সমূহের মতো সবাই মিলে নিয়মকানুন মেনে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলে আমরা আশা করি। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং যাবতীয় বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। নয়তো কোনো ইতিবাচক ফলাফল আসবে না। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আবারও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসুক, এটাই আমাদের আশাবাদ। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং এ সংক্রান্ত নিয়মকানুন বাস্তবায়নে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।