কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ শিথিলের মধ্যে আগামী ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত ভার্চুয়াল মাধ্যমে অধস্তন দেওয়ানি, ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে সাক্ষ্য গ্রহণ বাদে সব ধরনের শুনানি করা যাবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে অধস্তন দেওয়ানি আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন আদালতে মামলা করা যাবে। একই সঙ্গে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণপূর্বক সাকসেশন ও অভিভাবকত্ব নির্ধারণবিষয়ক শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে। আর ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা অধস্তন ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে শারীরিক উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণের আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে শুনানি কার্যক্রমের পদ্ধতি ও সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে হবে, যাতে আদালত প্রাঙ্গণে এবং আদালত ভবনে কোনোরূপ জনসমাগম না ঘটে। আত্মসমর্পণ দরখাস্ত শারীরিক উপস্থিতিতে শুনানির সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার পক্ষে নিযুক্ত আইনজীবী ব্যতীত অন্য কোনো আইনজীবী এজলাসকক্ষে অবস্থান করবেন না। এছাড়া এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন।
অন্যদিকে শুধুমাত্র ১৫ জুলাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে হাইকোর্টের বিচারকাজ পরিচালনার জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৩৮টি ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছেন। ৩৮টি বেঞ্চের মধ্যে দ্বৈত বেঞ্চ ২৫টি আর ১৩টি রয়েছে একক বেঞ্চ। ১৫ জুলাই সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল সোয়া ৪টা পর্যন্ত এসব বেঞ্চে বিচারকাজ চলবে। তবে এরপর সুপ্রিম কোর্টের অবকাশ শুরু হলে আগামি ১৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৪টি একক ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচার কাজ চলবে।
বিগত দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে হাইকোর্টে তিনটি একক বেঞ্চ এবং প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির ভার্চুয়াল আপিল বেঞ্চে বিচারকাজ চলমান থাকে। আগামীকালও আপিল বিভাগ বসবে। এরপর ৩১ জুলাই পর্যন্ত নির্ধারিত অবকাশের মধ্যে দুই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত চলবে।