২০২০-২১ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা। যা বর্তমান ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ২৮ হাজার ৫১ কোটি টাকা।
ফলে এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে কমছে ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতের সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে মুজিব শতবর্ষের সবার জন্য মানসম্মত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রত্যয় এবং ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ অঙ্গীকার সামনে রেখে কাজ করছে সরকার।
২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে। ইতোমধেই ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের উৎপাদনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে।
বর্তমানে ১৬ হাজার ৮৭৫ মেগাওয়াটি ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন, ২ হাজার ৭৮৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আরাে ১৯ হাজার ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৬টি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
এছাড়া পায়রা, মহেশখালি মাতারবাড়িতে মেগা পাওয়ার হাব নির্মাণের জন্য বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পায়রা ১৩২০, মাতারবাড়ি ১২০০ এবং রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র উল্ল্যেখযোগ্য।
অর্থমন্ত্রী জানান, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া উপ আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিদ্যুৎখাতের উন্নয়নের কথা তুলে ধরা হয়।
বলা হয়, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ উপজেলায় বিদ্যুতায়ন করা হবে। এরমধ্যে ২৫৭ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে এছাড়া আরো ১৫৩ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ চলছে।
এদিকে বাজেট বক্তৃতায় জ্বালানি বিষয়ে বলেন, দেশে এখন প্রায় ২ হাজার ৫২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাপেক্স ১০৮টি কূপ খনন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল এরমধ্যে ২৯টি কূপের খনন শেষ করেছে। এছাড়া সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মডেল পিএসসি ২০১৯ করা হয়েছে। এর বাইরেও চাহিদা সামাল দিতে আরো এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি করার জন্য দুটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। এখন গড়ে দৈনিক ৫৬০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানি হচ্ছে। গ্যাসের অপচয় হ্রাস করার জন্য প্রিপেইড মিটার বসানো হচ্ছে।