‘বিদ্যাসাগরের যে মতাদর্শ, তার প্রয়োজনীয়তা আজও এই সমাজে বিদ্যমান। এখনও এখানে বাল্য বিবাহ হয়, প্রতিনিয়ত হচ্ছে নারী নির্যাতন। করোনামহামারীর সময় হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির যে খবরগুলো আমরা পড়েছি, আমাদের কবি-সাহিত্যিকদের কি সাহস আছে- এগুলোর সোচ্চার প্রতিবাদ করার? কিন্তু বিদ্যাসাগর থাকলে ঠিকই আওয়াজ করতেন, প্রতিবাদ করতেন। দুর্নীতির কারণে অধিকার বঞ্চিত মানুষদের নিয়ে কথা বলতেন।’
বিদ্যাসাগরের ২০০তম জন্মবার্ষিকী শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। এ উপলক্ষে তার একদিন আগে (২৫ সেপ্টেম্বর) পরম্পরার আয়োজনে ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত হয় ‘দিনভর বিদ্যাসাগর’। অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সভাপতির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন কবি শামসুল ফয়েজ।
এই পর্বের আলোচক হিসেবে ছিলেন কবি ফরিদ কবির, কবি সরোজ মোস্তফা এবং মাওলা প্রিন্স।
অনুষ্ঠানে শামসুল ফয়েজ বলেন, বিদ্যাসাগরকে ধারণ করতে হলে প্রথমেই সমাজের অসংগতিগুলো নিয়ে কথা বলা জরুরী। কারণ তার সময়ে কোনো অন্যায় তিনি নিরবে সয়ে যান নি। তাকে অনুভব কিংবা অনুসরণ করতে হলে সমাজের অসংগতি নিয়ে কবি-সাহিত্যিকদেরও প্রতিবাদ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন কবি ফরিদ আহমেদ দুলাল, কবি আওলাদ হোসেন ও কবি হাসান জামিল।
‘দিনভর বিদ্যাসাগর’ এর শেষ পর্বে সভাপতিত্ব করেন কবি আশরাফ মীর। আলোচক হিসেবে ছিলেন প্রাবন্ধিক রাজীব সরকার, কবি কাজী নাসির মামুন ও প্রাবন্ধিক মাজেদা মুজিব।
এছাড়াও প্রতিটি পর্বে ছিল স্বরচিত কবিতা পাঠ ও সংগীত। রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মামুনুল ইসলাম রনি গান শোনান। বিদ্যাসাগর থেকে পাঠ করেন আবৃত্তিশিল্পী রুবিনা আজাদ, কবি সালমা বেগ ও আবৃত্তিশিল্পী কায়সার রিজভী।
দিনব্যাপী পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেন কবি শামীম আশরাফ।