টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ না করায় প্রেমিকাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়েছে প্রেমিক হৃদয় (১৮)। বর্তমানে ওই ছাত্রী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছয়আনি বকশিয়া গ্রামে।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে রোববার (২৪ অক্টোবর) হৃদয়কে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হৃদয়কে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে। সে ওই এলাকার টেক্কা মিয়ার ছেলে।
আহত স্কুল ছাত্রী জানায়, ২ বছর আগে বকশিয়া এলাকার টেক্কা মিয়ার ছেলে হৃদয়ের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। মাস দুয়েক আগে বিষটি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। পরে স্থানীয়ভাবে দুই পক্ষ মিলে সমঝোতায় পৌঁছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় দুই বছর পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে উভয় পক্ষ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে সমঝোতা করেন।
এদিকে প্রেমিক হৃদয় কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রেমিকাকে পড়ালেখা বন্ধ করে দিতে বলে এবং তার অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রেমিকা পড়ালেখা চালিয়ে যেতে থাকে। এতে হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। একপর্যায়ে কথা না শুনলে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর থেকেই প্রেমিকা স্কুল ছাত্রী হৃদয়ের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয় হৃদয়।
শনিরাব সন্ধ্যায় হঠাৎ প্রেমিকার বাসায় গিয়ে হাজির হয় হৃদয়। কিছু বুঝে উঠার আগেই প্রেমিকার ঘরে গিয়ে তাকে চাপাতি দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। পরে পরিবারের লোকজন এগিয়ে গেলে হৃদয় সেখান থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নির্যাতিতাকে প্রথমে ভুঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাযওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলেন।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে রোববার (২৪ অক্টোবর) বখাটে হৃদয়কে একমাত্র আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ হৃদয়কে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে।
এ বিষয়ে ঘাটাইল থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনায় রোববার রাতে হৃদয়ের বিরুদ্ধে ছাত্রীর নানা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পরেই আমাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (সোমবার) সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।