খুলনার ফুলতলা উপজেলার ১১ নম্বর আলকা পল্লী মঙ্গল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অন্যান্য বিদ্যালয়ের থেকে আলাদা। এই আলাদা বৈশিষ্টের কারনে ‘মডেল’ বিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। যে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন কিলোমিটারের মধ্যে ইট ভাটা স্থাপনা নিষিদ্ধ থাকলেও এ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি।
ইট ভাটা কর্পক্ষ জানায়, বিদ্যালয়ের যাতে ক্ষতি না হয় তাই শিশুদের রক্ষার জন্য একটি দেওয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষকরা অভিযোগ করে বলেছেন, বিষয়টি উচ্চ মহলে জানানো হলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।
বিদ্যালয়টিতে বাচ্চাদের শেখানোর জন্য একটি ল্যাপটপ ও প্রোজেক্টর রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করছে এই মাল্টিমিডিয়া শ্রেণী কক্ষ।
শিক্ষার্থীরা জানায়, এই পদ্ধতির মাধ্যমে আনন্দ নিয়ে পড়াশোনা করছে। ফলে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক ঞ্জান আহরণ করছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসনে আরা রোজি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, আমি বাস্তবে যেটা পড়াচ্ছি সেই আবার দেখাতে পারছি। এতে বাচ্চারা সহজেই বিষয়গুলো ধরতে পারছে এবং উপকৃত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক স্বপন কুমার বিশ্ভাস বলেন, এ ক্ষেত্রে বাচ্চাদের বাড়তি কোন উপকরণ দেখা লাগে না বাচ্চারা এমনিতেই শিক্ষা নিতে পারে।
২০০৮ সাল থেকে বিদ্যালয়টি একাধিকবার সেরা বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে।
সারা বাংলাদেশের প্রতিটি বি্দ্যালয়ে এমন মাল্টিমিডিয়া বিদ্যালয় না থাকলেও এ বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা তা করতে পেরেছে। কিন্ত বিদ্যালয়ের সামনে যে ইটভাটা সেটি এখন মারাত্নক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বিষয়টি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তরসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা জানলেও ইটের ভাটা সরানোর কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করেননি।