ধরুন আজ মনে মনে ভাবলেন যে দুপুরের খাবারে পুরো আড়াই হাজার টাকা খরচ করে খাবেন। মাঝারী মানের কোনো রেস্তোরাঁয় খেলে এই টাকার খাবার একা খেয়ে শেষ করতে হিমশিম খাবেন। আবার যদি পাঁচ তারকায় খেতে বসেন, তাহলে মোটামুটি পেট ভরাতেই এই টাকা খরচ হবে। দেশের বাইরে খেতে কত খরচ হয় জানা আছে? জেনে নিন আড়াই হাজার টাকা বা ত্রিশ ডলারে কী খেতে পারবেন ভিনদেশে:
সুইজারল্যান্ড: ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে দ্রব্যমূল্য সবচেয়ে বেশি সুইজারল্যান্ডে। তাই খাবারেও খরচ হয় অনেক। সুইজারল্যান্ডে কম খরচের কোনো রেস্তোরাঁয় আড়াই হাজার টাকায় উপরের ছবির মতো এক কাপ কফি আর একটা স্টেক খেতে পারবেন।
জাপান: জাপানের খাবার খুব বেশী ঝাল হয় না। দামও ইউরোপের চাইতে তুলনামূলক ভাবে কম। সি ফুডের চাহিদা বেশী জাপানের রেস্তোরাঁগুলোতে। আড়াই হাজার পেটপুরে খেতে পারবেন। রাইস, স্প্যাগেটি, সি ফুড স্যুপ, সুশি সব মিলবে এই দামে।
ইতালি: পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ইতালিয়ান খাবার জনপ্রিয়। কম দামের রেস্তোরাঁয় গেলে আড়াই হাজার টাকায় পিজ্জা, স্প্যাগেটি, স্যান্ডুইচ পাওয়া যাবে।
কানাডা: কানাডায় পাওয়া যায় বিভিন্ন দেশের খাবার। কানাডার নিজস্ব কোনো বিশেষত্ব নেই খাবারের। তাই বিভিন্ন দামে বিভিন্ন স্বাদের খাবার পাওয়া যায়। আড়াই হাজার টাকায় একটি ছোট রেস্তোরাঁয় স্টেক, কফি, পিজ্জা এবং জুস খেয়ে পেট পুরতে পারবেন অনায়াসেই।
জ্যামাইকা: জ্যামাইকায় খাবারের দাম তুলনামূলক কম। মাঝারী দামের রেস্তোরাঁয় উপরের ছবির মতো খাবার পাওয়া যাবে আড়াই হাজার টাকায়। সি ফুড, জুস, ভাত, মাংস, সবজি সব পেয়ে যাবেন এই দামে।
অস্ট্রেলিয়া: অস্ট্রেলিয়ায় খাবারের দাম মোটামুটি কম। কম দামের রেস্তোরাঁও প্রচুর। আড়াই হাজার টাকায় উপরের ছবির মতো কফি, বড় বার্গার, স্যুপ, সালাদ খেতে পারবেন অনায়াসেই।
মেক্সিকো: মেক্সিকোতে বেড়াতে গেলে প্রচুর খেতে পারবেন। কারণ এখানে খাবারের দাম খুবই সস্তা। খাবার একটু স্পাইসি। আড়াই হাজার টাকায় আপনি ছবির মতো এতগুলো খাবার খেতে পারবেন পেট পুরে।
ভারত: পাশের দেশের দাম সম্পর্কে হয়তো ইতিমধ্যেই ধারণা আছে আপনার। আড়াই হাজার টাকায় যত খাবার পাওয়া যাবে, তা একা খেয়ে শেষ করতে হিমশিম খেতে হবে আপনার। -ব্রাইট সাইড