বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নেয়ার উৎসব উদযাপনে দেশবাসীর মত আনন্দে মাতোয়ারা বিদেশিরা।
নববর্ষের বর্ণীল আয়োজনে শামিল হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংসদ ভবন এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন উৎসমুখর আয়োজনে উপস্থিতি ছিল বিদেশিদের।
রোববার সকালে সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া এভিনিউতে দেখা যায় নতুন পোশাকে ও বর্ণিল সাজে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছেন বিদেশিরা। অনেকেই এখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এসেছেন, আবার অনেকেই এসেছেন একা। কেউ হাতে রঙ তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত, কেউবা আবার খাচ্ছেন লাল-নীল আইসক্রিমসহ মুড়ি মুড়কি। তাদের অনেকেই পরেছেন বাঙালির পোশাক পাঞ্জাবি ও লুঙ্গি।
বাংলা নববর্ষ উদযাপন করতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের (ইউএসএ) নাগরিক মিঃ স্যাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: এটা অসাধারণ একটা সাংস্কৃতিক উৎস বলেই আমার মনে হচ্ছে। আমি সকাল থেকেই এ আয়োজন উপভোগ করছি। আমি এরকম উৎসব খুবই ভালোবাসি। তাই ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে ইউএসএ থেকে বাংলাদেশে এসেছি পহেলা বৈশাখ আর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখার জন্য।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষিকা মিসেস ট্রেসি চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: এটা অনেক মানুষের একটা মিলনমেলার উৎসব। আর এখানকার মানুষেরা খুবই আন্তরিক। বাংলা নববর্ষের এ দিনটা আমার খুব ভাল লাগছে। আজ ঘুরে বেড়াচ্ছি আর আনন্দ করছি।
এদিকে রঙ তুলিতে মুখে ‘শুভ নববর্ষ’ লিখে আনন্দে মাতোয়ারা ১৫ বছর বয়সী লুকি। পহেলা বৈশাখ নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের এই তরুণ চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: ‘আমি ইউএসএ থেকে আমার পরিবারে সঙ্গে এদেশে এসেছি। আমরা সবাই আজ রঙিন নতুন পোশাক পরেছি। রঙ দিয়ে মুখ একেঁছি এবং সকাল থেকেই আনন্দ করছি।