বিতর্কিত সেই গোঁফ ছেঁটে ফেলেছেন সাউথ কোরিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যারি হ্যারিস। সম্প্রতি সিউলের একটি সেলুনে গিয়ে গোঁফ ছেঁটে ফেলেছেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি টুইটারে ছবি শেয়ার করে জানান, কোভিড-১৯ এর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেস মাস্ক পরার সময় শীতল পরিবেশ বজায় রাখতে তিনি এমনটা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন অনেক শীতল বোধ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় হ্যারিসের গোঁফ ছিল না। এমনকি দক্ষিণ কোরিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্তের সময়ও তার গোঁফ ছিলো না। তবে চলতি বছরের জানুযারির দিকে তিনি গোঁফ রাখেন।
তখন থেকে এই কূটনীতিকের গোঁফ নিয়ে দারুণ চটে যান কোরিয়ানরা।
জানা যায়, হ্যারি হ্যারিসের মা জাপানের নাগরিক। হ্যারিও জাপানে জন্ম নিয়েছেন। পরে তিনি মার্কিন নৌ-বাহিনীর অ্যাডমিরাল ছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দাদের কথা হচ্ছে, ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জাপানের উপনিবেশ ছিল কোরিয়ায়। সেসময় আটজন জাপানের গভর্নর-জেনারেল তাদের নির্যাতন করেছেন। তাদের সবারই গোঁফ ছিল।
মূলত তাদেরকে অনুকরণ করেই হ্যারিস গোঁফ রেখেছেন বলেই অভিযোগ সাউথ কোরিয়ানদের।
কোরিয়ান রাজনীতিবিদরা বলেছেন, হ্যারিসের মুখের গোঁফ ঔপনিবেশিক আমলের বেদনাদায়ক স্মৃতিগুলোকে সামনে এনেছে।
তবে এই বিষয়ে হ্যারিসের বক্তব্য হলো, আমি আগে নৌ-বাহিনীর অ্যাডমিরাল ছিলাম। কূটনীতিক হওয়ার পর চেহারায় একটু পরিবর্তন আনতে গোঁফ রেখেছিলাম।
হ্যারি হ্যারি ২০১৮ সাল থেকে সাউথ কোরিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করছেন।