শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) ছিলো বাংলাদেশের সরকারি গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এর ৫৬তম জন্মদিন। এদিন উপলক্ষে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে প্রতিবারের মতো এবারও জমকালো আয়োজনে উদ্যাপন হয় বিটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
যেখানে বিটিভির সাবেক ও বর্তমান কলাকুশলীদের মিলনমেলা বসে। এদিন সকাল ৭টা থেকে চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন অতিথিরা। শীতের পিঠা-পুলির আমেজ আর সুরের ধারা ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার গানকে সঙ্গী করে সকাল ১১টা পর্যন্ত খোশ গল্পে মেতে ছিলেন তারা একে অপরের সাথে।
চ্যানেল আইয়ের পক্ষ থেকে এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ এবং ইমপ্রেস লি. ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক মুকিত মজুমদার বাবু।
অনুষ্ঠানের স্মৃতিচারণের পাশাপশি আরো সংগীত পরিবেশন করেছেন রফিকুল আলম। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে স্মৃতিচারণ করেন ফকীর আলমগীর, মামুনুর রশীদ, খায়রুল আলম সবুজ, শাহিদা আলম, আবদুল মান্নান, নাদের চৌধুরী, অরুণা বিশ্বাস, ঝুনা চৌধুরী, সাদী মহম্মদ, আলী ইমাম, হাফিজুর রহমান সুরুজ, রফিকুল্লাহ সেলিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা ‘বিটিভির ৫০ বছর’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এ সময় উপস্থিত অতিথিদের হাতে বইয়ের একটি করে কপি দেওয়া হয়।
১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর পাকিস্তান টেলিভিশন নামে চালু হয়েছিল এই প্রতিষ্ঠানটি। এরপর বাংলাদেশের জন্মের পরের বছর সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ, মাটি ও মানুষের কথা বলার ব্রত নিয়ে যাত্রা শুর করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। ১৯৮০ সালে দর্শকদের রঙিন পর্দা উপহার দেয়ার মাধ্যমে নতুন যুগে পা রাখে এ প্রতিষ্ঠানটি। এখন বিটিভি ওয়ার্ল্ড’র মাধ্যমে দেশের বাইরেও নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করেছে। পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় করোনাকালেও গণমাধ্যম হিসেবে বিটিভি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে বিটিভি।