আসছে মার্চে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। বাছাইপর্ব শুরুর আগে মেয়েদের উজ্জীবিত করতে বিসিবি থেকে বলা হয়েছিল সামনে ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী।
সেটা মনে রেখেই জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাছাইপর্বে লড়েছে টিম টাইগ্রেস। এসেছে সাফল্য। বিশ্বমঞ্চে লড়ার সুযোগ।
১৫ দিনের হোটেল কোয়ারেন্টাইন শেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শপথ অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে অংশ নেন নারী দলের কয়েকজন সদস্য।
সংবাদমাধ্যমকে টাইগ্রেস পেসার জাহানার আলম জানালেন, বিজয়ের দিনের আগে বাংলাদেশ দলকে সাফল্যে রাঙানোর সংকল্প ছিল তাদের।
‘ক্রিকেট বোর্ড থেকে আমাদের একটা কথা বলে দেয়া হয়েছিল, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে- মাথায় রেখো ১৬ ডিসেম্বর সামনে এবং বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি কিন্তু। এটা মাথায় রেখে তোমরা খেলো। এই স্পৃহা কিন্তু অন্যরকম একটা শক্তি দেয়। আমরা ভালোভাবে নিজেদের পরিচালনা করতে পেরেছি, যার জন্য ফল ভালো এসেছে।’
‘এটাতো অবশ্যই, অত্যন্ত আনন্দের। ২০১১ সালে আমরা যখন ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাই, তখন থেকে এবারেরটা নিয়ে তিনবার বাছাইপর্ব খেলেছি। লাকিলি এবার আমরা কোয়ালিফাই করতে পেরেছি। যেটা আমাদের আসলে স্বপ্ন ছিল। আমরা সবাই বিশ্বকাপ খেলতে চাই, এটাই আসলে (৫০ ওভার) আসল বিশ্বকাপ। আশা করি আমরা ভালো কিছু করব।’
সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো হওয়ায় ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়ে এখন পাঁচ নম্বর দল। জাহানারা জানালেন, মেয়েদের সামনের চ্যালেঞ্জ হবে এই অর্জন ধরে রাখা।
‘আগামী ৫ বছর যদি চিন্তা করি, আমাদের দলটাকে র্যাঙ্কিংয়ের চার-পাঁচে দেখতে চাই। যদিও এখন আমরা পাঁচে এসেছি, কারণ আমাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স ভালো। সামনে কিন্তু আমাদের অনেক প্রতিযোগিতা আছে। বিশ্বের বড় বড় দলের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি। আগে আমরা আইসিসির ক্যালেন্ডারে ছিলাম না। সেটি যেহেতু ধরতে পারছি, তাতে টানা প্রতিযোগিতা থাকবে।’
‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে যেমন রক্ষা করা কঠিন, ঠিক তেমন আমরা এখন বিশ্বকাপ খেলব, আমরা এখন প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে এবং এখন জেতা মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে। তো আমরা এটা রক্ষা করার চেষ্টা করব।’
২০১৮ এশিয়া কাপ জয় বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে বড় এক অর্জন। যে পথ ধরেই মেয়েরা পেয়েছে সামনে চলার শক্তি। জাহানারা জানালেন তিন বছর আগে পাওয়া সাফল্য মেয়েদের ক্রিকেট আমূল বদলে দিয়েছে।
‘এশিয়া কাপ জয় তো মেয়েদের ক্রিকেটের প্ল্যাটফর্মটাই পরিবর্তন করে দিয়েছে। কারণ এটার মাধ্যমে আমাদের সিনারিওতে পরিবর্তন এসেছে। অনেক খেলোয়াড় পাইপলাইনে পাচ্ছি। পরিবারের সাপোর্ট আসছে অনেক, এবং আর্থিক দিক থেকেও লাভবান হচ্ছি। এমনকি আমরা আপনাদের মিডিয়া থেকেও একটু বেশি কাভারেজ পাচ্ছি। সবদিক থেকেই পজিটিভ বলা যায়।’