বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রতিবছর চ্যানেল আই প্রাঙ্গণ সেজে উঠে লাল-সবুজের রঙে। এবারো বিজয় ৪৬ বছর উদযাপনে সকালের সোনা রোদ আর হালকা শীতের পরশ মেখে লাল-সবুজ রঙে একঝাঁক বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় ‘আনোয়ার সিমেন্ট ‘চ্যানেল আই বিজয় মেলা’।
লাল সবুজের বিজয় মেলা সম্মিলিতভাবে উদ্বোধন করেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম এর পরিচালক, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, যুদ্ধাহত ও খেতাবধারী বীরউত্তম, বীরপ্রতীক ও বীরবিক্রম, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী, ফুটবলদলসহ আরও অনেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইমপ্রেম টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর বলেন, আনন্দ জিনিসটা সবসময় আনন্দের। কিন্তু বিজয়ের আনন্দ সবচেয়ে বেশি আনন্দের হয়ে উঠে। তাই আমরা সবাই একই মঞ্চে সমবেত হয়েছি বাংলাদেশের বিজয় আনন্দে। কারণ এই আনন্দ আমাদের সেরা অর্জন। চ্যানেল আইয়ের পর্দায় আটটি মহাদেশের বাংলাভাষাভাষি মানুষও আজ আমাদের সঙ্গে বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠেছে।
বার্তা প্রধান ও চ্যানেল আইয়ের পরিচালক শাইখ সিরাজ বলেন, পরাধীনতা ভেঙ্গে আজ আমরা বীর ও শৃঙ্খলমুক্ত জাতি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অর্থনৈতিকভাবে। ২০২১ সালে বিজয়ের ৫০ বছরে বাংলাদেশ মধ্যমায়ের দেশে পরিণত হবে। আজ শ্রদ্ধা ভরে তাদেরেকে স্মরণ করি যাদের ত্যাগের কারণে স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন বিষয়ক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে আহত মুক্তিযোদ্ধা, বীর বিক্রমসহ অনেকে।
বিজয় মেলায় শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিভিন্ন স্টলগুলোতে রাখা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নানা দলিল, মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থমালা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ও মুক্তিযোদ্ধাদের ডায়েরি।
মেলায় আসা মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন স্মৃতিচারণ ছাড়াও স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এছাড়া চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠ ও ক্ষুদে গানরাজের শিল্পীরা বিজয়ের গান পরিবেশন করেন।
অপু মাহফুজ ও মৌসুমী বড়ুয়ার উপস্থাপনায় ‘চ্যানেল আই বিজয় মেলা’ সরাসরি সম্প্রচার করছে চ্যানেল আই।