‘অভিনেতা’ হিসেবে আলাদা ‘ভক্ত শ্রেণি’ তৈরি করেছেন জিয়াউল হক পলাশ। তার অভিনীত নাটক মানেই অনলাইনে শোরগোল! বিশেষ করে কাজল আরেফিন অমির ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিরিয়ালটি পলাশকে এনে দিয়েছে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা!
তাই সমসাময়িক অন্য নির্মাতাদের কাজগুলোতে নিয়মিত ডাক আসছে পলাশের। তবে অভিনেতা পরিচয় ছাপিয়ে ‘ওপেন সিক্রেট’ বিষয় হচ্ছে পলাশের দুর্বলতা ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু পরিচালনা ঘিরে। অভিনয়টা ভালো লাগা হলেও মনে প্রাণে পলাশ একজন পরিচালক।
সহকারী থেকে অমির সহযোগী হিসেবে বুম ফিল্মসে গত কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন পলাশ। ইতোমধ্যে পলাশের পরিচালনায় চারটি নাটক প্রকাশিত হয়েছে। শিগগির ‘রিভেঞ্জ’ নামে আরেকটি নাটক প্রচারের অপেক্ষায়। কণ্ঠশিল্পী জুনায়েদ ইভানের একটি মিউজিক ভিডিওর নির্দেশনা দিয়েছেন পলাশ। আগে লাক্সের একটি ও অপ্পো স্মার্ট ফোনের দুটি বিজ্ঞাপন তিনি নির্মাণ করেছেন।
পলাশ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানালেন, তিনি নতুন একটি বিজ্ঞাপন বানিয়েছেন। ‘ইডব্লিউ ভিলা বাংলাদেশ’ নামে একটি স্কিন কেয়ার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এটি। যেখানে কাজ করেছেন একঝাঁক নতুন মুখ।
বুম ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এ বিজ্ঞাপনটি পলাশ ও আইডিয়া বক্সের যৌথ ভাবনায় বানানো হয়েছে। তিনি জানান, শিগগির বিজ্ঞাপনটি প্রচারে আসবে।
পলাশ বলেন, এটি থিমেটিক বিজ্ঞাপন। গল্পে মানুষের মনের ছোট ছোট অসুখের কথা বলা হয়েছে। তবে এসব অসুখ হৃদরোগজনিত নয়। মুখে ব্রণ হলে বা গায়ের রঙ কালো হলে অনেকে অসুখ মনে করে! কারও তিল না থাকলেও কাজল দিয়ে তিল আঁকে। অনেকের মুখ ভর্তি তিল থাকলে পীড়াদায়ক মনে করেন। আবার চুল কম থাকলে অনেকের আত্মবিশ্বাস কমে যায়। আমাদের সমাজব্যবস্থার কারণে এসবে অনেকেই হতাশায় ভোগে।
পলাশ বলেন, ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকাতেই শুটিং হয়েছে। এই বিজ্ঞাপনে সৌখিনতা ও বাস্তবতার সংমিশ্রণ তুলে ধরেছি। এক মিনিটের এই বিজ্ঞাপনের গল্পের মানুষের মনের এসব অসুখ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, বিজ্ঞাপনটি প্রচার হলে সবাই কাজটির প্রশংসা করবেন। যেমনটা আমার পরিচালনায় আগের কাজগুলোর ক্ষেত্রে করেছেন সবাই।