একদম ছোট বেলায় বিছানায় প্রস্রাব করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু পাঁচ বছর বয়সের পরেও যদি সন্তান বিছানায় প্রস্রাব করে, তাহলে সে ব্যাপারে অবশ্যই সচেতনতা জরুরি। প্রস্রাব করে বিছানা ভিজিয়ে ফেলার বিষয়টি পুরোপুরিই মস্তিষ্ক থেকে নিয়ন্ত্রিত। তাই এই ব্যাপারে বকাঝকা করে লাভ নেই। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলে সন্তানের এই বদভ্যাস ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে। জেনে নিন পদ্ধতিগুলো।
ঘুমানোর আগে প্রস্রাব করিয়ে নিন
আপনার সন্তান ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই প্রস্রাব করিয়ে নিন। মূত্রথলি খালি থাকলে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব করার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই প্রয়োজনে মাঝ রাতেও একবার ঘুম থেকে উঠিয়ে বাথরুমে নিয়ে যান তাকে। এতে ঘুমের মধ্যে প্রস্রাব করার অভ্যাস কমবে ধীরে ধীরে।
রাতে তরল খাবার কম খাওয়ান
আপনার সন্তানকে সারাদিন প্রচুর পানি পান করান। কিন্তু রাতে ঘুমাতে যাওয়ার এক ঘণ্টা আগে পানি কিংবা পানীয় জাতীয় খাবার খাওয়াবেন না সন্তানকে। তৃষ্ণা পেলে অল্প পানি খাওয়ালেও গ্লাস ভরে খাওয়াবেন না।
কোষ্ঠকাঠিন্য আছে কিনা লক্ষ্য করুন
একটু খেয়াল করুন তো, আপনার সন্তানের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে কিনা। মলদ্বার যেহেতু মূত্রথলির ঠিক পেছনেই থাকে তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তার প্রভাব পড়ে। ফলে ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করার প্রবণতা দেখা দেয়। আপনার সন্তান নিজে বুঝতে পারবে না তার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে কিনা। তাই এই ব্যাপারে আপনাকেই খেয়াল রাখতে হবে।
বেড ওয়েটিং অ্যালার্ম কিনুন
এই ডিভাইসটি বিছানায় প্রস্রাবের অভ্যাস দূর করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হিসেবে ধরা হয়। একটি সেন্সর সন্তানের আন্ডারওয়্যারে লাগিয়ে রাখা হয়। আর্দ্রতা অনুভব করলেই অ্যালার্ম বেজে ওঠে। ফলে সন্তানের ঘুম ভেঙে যায়। ধীরে ধীরে অ্যালার্ম বাঁজার আগেই সন্তান প্রস্রাবের চাপ অনুভব করতে পারে। ফলে বিছানায় প্রস্রাবের সমস্যা দূর হয়।
পুরস্কৃত করুন
আপনার সন্তান যে রাতে বিছানা নষ্ট করবে না, সেই রাতের জন্য তাকে পুরস্কৃত করুন। তার প্রশংসা করুন। এতে সে অনুপ্রেরণা পাবে এবং বিছানায় প্রস্রাবের প্রবণতা কমে যাবে। ফেমিনা।