গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে প্লাস্টিকের পিস্তল দিয়ে আঘাত এবং ভয় দেখানোর বিচার চাইতে গিয়ে আব্দুর রাহাত মিয়া (১৮) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়া (২৬) ও তার মা ধলি বেগমকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেল ৫টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুর রাহাত কাঁঠালবাড়ী গ্রামের আব্দুর রহিম মিয়ার ছেলে। সে কাঁঠালবাড়ী মোস্তফিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার দাখিলের ছাত্র। আটক ধলি বেগম ও রুবেল মিয়া একই গ্রামের খয়বর হোসেনের স্ত্রী ও ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে প্রতিবেশি খয়বর হোসেনের ছেলে আল আমিন হঠাৎ করেই রাহাতকে একটি প্লাস্টিকের পিস্তল দিয়ে পেটে আঘাত করে। এ সময় রাহাতকে পিস্তল দিয়ে হত্যার ভয় দেখায় আল আমিন। বাড়িতে এসে রাহাত ঘটনাটি তার বাবা-মাকে জানায়।
রোববার বিকেলে রাহাতকে সঙ্গে নিয়ে তার মা আল আমিনের বাড়িতে যায়। এসময় রাহাতের মা আল আমিনের মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলে বিচার দাবি করেন। খবর পেয়ে আল আমিন বাড়িতে এসে রাহাতের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে আল আমিন গাছের ডাল দিয়ে রাহাতকে মারধর করতে থাকে। এসময় আল আমিনের ভাই রুবেল, বাবা খয়বর ও মা ধলি বেগমও রাহাতকে মারধর করে। মারধরে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রাহাতের।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে এম মেহেদী হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাহাতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘‘নিহতের শরীরের একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেল মিয়া ও তার মা ধলি বেগমকে আটক করা হয়েছে।’’
ওসি জানান, ঘটনার পর প্রধান অভিযুক্ত আল আমিন ও তার বাবা পালিয়ে গেছে। তাদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত রাহাতের বাবা আব্দুর রহিম বাদী গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।