চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ এখন সুস্থ

চারদিন আগে পেটে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

৩১ ডিসেম্বর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দেশের ষষ্ঠ প্রধান বিচারপতি  ।

বৃহস্পতিবার চ্যানেল আই অনলাইনকে ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন: ‘বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ বার্ধক্যজনিত সমস্যাসহ, হার্ট, চোখ, কান, উচ্চরক্তচাপ সহ বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। পেটের প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে ভর্তি হলেও এখন তিনি ভালো আছেন।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর কামরুল হাসান বলেন: ‘বিচারপতি সাহাবুদ্দীন অাহমেদ জটিল শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু বয়স অনুপাতে তিনি সুস্থ আছেন।’

‘‘তার খাবার-দাবারসহ যাবতীয় বিষয় খুবই গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এমনকি তিনি যে কেবিন ব্লকে অাছেন সেখানেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’’

তিনি জানান, তার পরিবারের সদস্যরা দেশবাসীর কাছে তার জন্য দোয়া চেয়েছেন। তবে এ বিষয়ে পরিবারের সদস্যরা গণমাধ্যমে কথা বলতে আগ্রহী নন।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে জন্ম নেওয়া সাবেক এ রাষ্ট্রপতির বয়স হাসপাতালের রেজিস্টারে ৯১ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদের পতনের পর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তখনকার প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ।

পরের বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তার অধীনে হওয়া ৫ম জাতীয় সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় বিএনপি। শর্তানুসারে এরপর তিনি আবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে যোগদান করেন।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তাকে আবারো রাষ্ট্রপতি করে। প্রথমে তিনি রাজি না হলেও তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনশনের হুমকিতে দায়িত্ব নিতে রাজি হন। যদিও ২০০১ নির্বাচনে হেরে আওয়ামী লীগ তার সমালোচনা করে।

রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর একরকম লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়া সাহাবুদ্দীন আহমদ গুলশানের ‘গ্র্যান্ড প্রেসিডেন্ট কনকর্ড’ বা প্রেসিডেন্ট হাউসে ছোট ছেলের সঙ্গে বসবাস করছেন।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার পেমই গ্রামে জন্ম নেয়া সাহাবুদ্দীন আহমদ ১৯৫১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৫২ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

১৯৫৪ সালে তদানীন্তন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের (সিএসপি) প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন সাহাবুদ্দীন আহমদ। তার কর্মজীবনের সূচনা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে। এরপর সহকারী জেলা প্রশাসক হিসাবে পদোন্নতি পান তিনি। ১৯৬০ সালে তাকে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগে বদলী করা হয়।

১৯৬৭ সালে তাকে ঢাকা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭২ সালের ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পান সাহাবুদ্দীন আহমদ।