সরকারবিরোধী চলমান বিক্ষোভ ঠেকাতে ‘রাজার সমালোচনা নিষিদ্ধ আইন’ প্রয়োগ শুরু করেছে থাইল্যান্ড সরকার।
বিবিসি বলছে: আন্দোলনত বেশিরভাগ নেতাকর্মীকে বিতর্কিত এই আইনে তলব করা হয়েছে। আন্দোলনে নেতৃত্বে কয়েকজন মানবাধিকার কর্মীসহ কমপক্ষে ৬ জন নেতাকেও এই আইনে শাস্তির মুখোমুখি করা হতে পারে।
দুই বছরের মধ্যে এটি প্রথম যে, এই আইনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হলো।
থাইল্যান্ডে রাজার সমালোচনাকে অত্যন্ত গর্হিত কাজ হিসেবে দেখা হয়। ২০১৬ সালে রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের মৃত্যুর পর দেশটির সাংবিধানিক রাজা হন ৬৬ বছরের মহা ভাজিরালংকর্ন। রাজা ভাজিরালংকর্ন ক্ষমতায় আরোহন করার পর বিতর্কিত মানহানিকর আইনে পরিবর্তন আনেন। এই আইনে থাই রাজপরিবার বা রাজার সমালোচকদের শাস্তি হিসেবে ১৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়।
গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীরা এই আইনের বিলুপ্তির দাবি তুলেন। সেই ধারাবাহিকতায় রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধেও অবস্থান নিয়েছে থাইল্যান্ডের লোকজন।
বিশেষ করে তরুণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে ব্যাপক আন্দোলন চলছে থাইল্যান্ডে।
এরই মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিক্ষোভে কাপছে ব্যাংকক। তারা সরাসরি রাজতন্ত্র পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা সাংবিধানিক সংস্কারের পাশাপাশি দেশটির প্রধানমন্ত্রীকেও অপসারণের দাবি তুলেছেন।