রাজধানীর কলাবাগানে ইংরেজি মাধ্যম পড়ুয়া স্কুলছাত্রীটির ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সে বিকৃত যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
শুক্রবার পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন শেষে এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান ফরেসনিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষার্থীর যৌনাঙ্গ ও পায়ুপথ দুই দিক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। দুই জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন ধস্তাধস্তির কোন আলামত পাওয়া যায়নি। চেতনানাশক কোন কিছু খাওয়ানো হয়েছিল কিনা সে জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
এছাড়াও ঘটনাস্থলে একাধিক ব্যক্তি ছিল কিনা সেজন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর ভিসেরাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি বলেন থানা পুলিশ সুরতহাল রিপোর্টে বয়স জানতে চেয়েছে। সে কারণে মৃতদেহ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে এক্সরে বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে এক্সরে করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এক্সরে ছাড়াই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছি। শরীরের গঠন ও দাঁত দেখে বয়স নির্ধারণ করা হবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে দিহান নামের ওই একজনই আসামি, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকাল সোয়া চারটার দিকে ধানমন্ডির আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল থেকে নিহত ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
সেখানকার চিকিৎসকের বরাত দিয়ে পরিবার জানায়, আমাদের মেয়েকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। তার মাত্রাতিরিক্ত রক্তক্ষণের ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের মা অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়েকে কৌশলে বাসায় নিয়ে ওই দিহানসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করেছে। হয়তো বাধা দেওয়ায় তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে।