আদালত কেন্দ্রিক প্রচলিত বিচারব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে নয়, কেবলমাত্র বিশেষ পরিস্থিতির জন্যেই ভার্চুয়াল কোর্ট ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সহকারী জজদের অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভার্চুয়াল আদালত সুচারুভাবে পরিচালনার জন্য বিচারকদের পাশাপাশি আইনজীবীদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এই পৃথিবীতে ভার্চুয়াল কোর্ট প্রথা চালু হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ভার্চুয়াল কোর্ট স্বাভাবিক বিচার ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে কাজ করার জন্য নয়। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে প্রচলিত পদ্ধতিতে আদালত পরিচালনা করা হয়, সেটাই বলবৎ থাকবে। কেবলমাত্র অস্বাভাবিক কিংবা বিশেষ পরিস্থিতির জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট প্রথা অবলম্বন করা হবে। আর ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত হলেও সেটার ব্যবহার হবে কেবলমাত্র বিশেষ পরিস্থিতিতে।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় পর দেশে বিচারকার্যক্রমকে সচল রাখার লক্ষ্যে সরকার দ্রুততম সময়ে ‘আদালত কর্তৃক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০’ তথা ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা আইন প্রণয়ন করে, যা বিচার বিভাগকে আধুনিক ও গতিশীল করার জন্য একটি যুগান্তকারী আইন। এই আইন দেশের বিচার বিভাগকে নতুন যুগে প্রবেশ করিয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী গত ১১ মে থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত মোট ৩৫ কার্যদিবসে সারাদেশের অধস্তন আদালতের বিচারকগণ ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে ৯৫ হাজার ৫২৩টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন এবং যার মধ্যে ৪৯ হাজার ৭৬২ জন আসামির জামিন মঞ্জুর হয়েছে।’
সহকারী জজদের অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সের আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। আর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মুসা খালেদ।