বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিকল্পধারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটে আসতে চাইলে আওয়ামী লীগ সেটাকে কিভাবে গ্রহণ করবে আওয়ামী লীগ? আর আওয়ামী লীগ থেকেই বিকল্পধারাকে জাতীয় নির্বাচনকে সময় পাশে পাওয়ার কোন ইচ্ছে আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: আমি এখনই মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। এ বিষয়ে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হবে।
মঙ্গলবার সকালে বনানীতে বিআরটিএ’র নবনির্মিত ভবনের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে যান সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী। সেখানে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিকল্পধারা যদি আমাদের সঙ্গে আসতে চায় তাহলে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্ত লাগবে। আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। জোট, সমীকরণ, পোলারাইজেশন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে এটা এখনই বলা মুশকিল।
বিকল্পধারাকে আনতে চাইলে কি অবস্থান আবার তাদেরকে নিজ থেকেই কোন প্রস্তাব আওয়ামী লীগ দেবে কিনা এ বিষয়ে, ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান কাদের।
বলেন:এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করব এবং সিদ্ধান্ত নেব। তবে আমি এখনই কমেন্ট করতে পারছি না।
যেহেতু দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া অ্যালায়েন্সের (জোট) ব্যাপারে অগ্রসর হতে পারি না। ইলেকশন রিলেটেড সব বিষয় আমাদের ওয়ার্কিং কমিটিতে আলোচনা হবে। সেখানে আমরা আলোচনা করবো।
আমি হাইপোথেটিক্যাল কথা বলিও না, আর বলবোও না; যোগ করেন কাদের।
শুরুতে জাতীয় যুক্তফ্রন্ট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কাদের বলেন: আমরা যতদূর জানি যুক্তফ্রন্টকে (বিকল্পধারা) সুকৌশলে বের করে দেয়া হয়েছে। তারা এখানে থাকুক এটা বিএনপির জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল না।
বিকল্পধারা নিয়ে বিএনপির অস্বস্তি তুলে ধরে কাদের বলেন: এই বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপি সময় প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তাকে কিভাবে অপমান করা হয়েছে, তার সঙ্গে একটি অস্বস্তির বিষয় বিএনপি’র আছে। বরাবরই ছিল সেটা আপনারা জানেন। এমনকি বদরুদ্দোজা সাহেবকে বাসায় ডেকে অপমান করা হয়েছে। যিনি ডেকেছিলেন তার বাসার দরজা খোলারও নাকি লোক ছিলো না!
এদিকে, গত ১৩ অক্টোবর শনিবার বিকল্পধারা সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী চ্যানেল আই অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটের সম্ভবনা উড়িয়ে দেন। বলেন: আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের বিরুদ্ধেই আমাদের এই সমস্ত প্রক্রিয়া। তাদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্যই আমাদের এসব প্রচেষ্টা। সেখান থেকে তাদের সঙ্গে যাওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না।
জোটের রাজনীতিতে একটা সময় এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী উদ্যোগে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল(জেএসডি) এবং নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে নিয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়েছিলো যুক্তফ্রন্ট।
সেখান থেকেই শুরুতে চেষ্টা ছিলো জাতীয় ঐক্যের। সেই জায়গা থেকে হঠাৎই বিকল্পধারাকে বাদ রেখেই আ স ম আবদুর রব’র জেএসডি এবং মাহমুদুর রহমান’র মান্না নাগরিক ঐক্যে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেয়।
যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন গণ ফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। এ জোটের অপর দলটি হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।