বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, এই নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের আজ্ঞাবহ। এটি পক্ষপাতদুষ্ট কমিশন। এ কমিশন দিয়ে দেশের জনগণের কোন কল্যাণ হবে না। এসময় উপযুক্ত সময়ে বিএনপি কর্মসূচি দিবে বলেও জানান এবং এবার যে কর্মসূচি হবে সেটা লাস্ট এন্ড ফাইনাল হবে উল্লেখ করেন মওদুদ।
তিনি বলেন, বিএনপি এমন কর্মসূচি দিবে যেন পিছু হটতে না হয়। বিএনপি যদি মাঠে নামে দেশের রাজনৈতিক চিত্র বদলে যাবে।
সোমবার নয়াপল্টনে মহিলা দলের এক কর্মসূচির বক্তৃতায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্পষ্টতই বলেছেন, আমাদের নেত্রী সপ্তাহে তিনদিন আদালতে যাবেন আর আপনি হেলিকপ্টারে ঘুরে বেড়াবেন, নির্বাচনী প্রচারণা চালাবেন, তা হবে না। আমাদেরকে কারাগারে রেখে কোন নির্বাচন দেশে হবে না।
এসময় ফখরুল দাবি করেন, আমাদের বিরুদ্ধে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দিতে হবে। তারপরই নির্বাচন। নির্বাচন হবে একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে’।
এর আগে রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের এর এক ছোট্ট মিলনায়তনের প্রতিবাদ সভায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন এবং হুমকি স্বরূপ কথা বলেন।
মওদুদ বলেন, বিরোধীদল হাত পা বেধে বন্দি রেখে সরকারি দলের এর সভাপতি নির্বাচনী প্রচারণা কাপুরুষের লক্ষণ। এসময় তিনি আওয়ামী লীগকে নির্বাচনী প্রচারণার সুযোগ দিলে বিএনপিকে দিতে হবে জানান এবং তা দিতে ব্যর্থ হলে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ করার দাবি জানান।
শুধু তাই নয়, তাঁদের নেত্রীকে মামলা দিয়ে যতোই ভয় ভীতি দেখানো হোক না কেন, কোন কাজ হবে না উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, বিএনপির গণজোয়ারে নৌকা ভেসে যাবে”।
বিএনপির আরেক জ্যেষ্ঠ নেতা ও দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের আহুত নির্বাচনী প্রকল্প ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি কক্ষে প্রতিবাদ সভা থেকে আমির খসরু বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির নির্বাচনী প্রকল্প হলো, খালেদা জিয়াকে নিয়মিত কোর্টে নিয়ে যাওয়া, তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে অন্তরীণ রাখা, আমাদের নেতাকর্মীদের দলে দলে জেলে বন্দি রাখা, গুম-খুন চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করা, নির্বাচনের সময়ও সংসদ বহাল রাখা, সেনাবাহিনীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা এবং আবারও অবৈধ উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া’।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হতে দিব না। এই প্রকল্প আমরা ধ্বংস করে দিব। আবারও অবৈধ ক্ষমতায় আরোহণের আওয়ামী লীগের এই প্রকল্প কখনো বাস্তবায়ন হবে না।
ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল আওয়ামী লীগের খায়েশ পুরণ হবে না বলে জানান।
তিনি আত্মবিশ্বাসী সূরে বলেন, হাসিনা যখন নির্বাচনী প্রচারণায় যাবেন তখন জনগণ বলবে, আপনার কারণে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আপনি বলেছিলেন, ১০ টাকা দরে চাল খাওযাবেন। এখন আমরা খাচ্ছি ৬০-৭০টাকা দামে। আপনি কেন এসেছেন? কিসের ভোট চাইছেন?
সোহেল বলেন, আমরা একটি সমাবেশ করার অনুমতি পাইনি। আগে আমরা পল্টন ময়দানে সমাবেশ করতাম, সেটি বন্ধ করে দেয়া হলো, আমরা মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ করতাম, সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়, আমরা বায়তুল মোকাররমের সামনে সমাবেশ করতাম, সেটিও বন্ধ। এরপর আমরা বিভিন্ন মিলনায়তনে সমাবেশ শুরু করি। সেটাও এখন অনেকটাই বন্ধ করে দেয়ার উপক্রুম, অনুমতি পাওয়া যায় না। আর আপনি শেখ হাসিনা হেলিকাপ্টারে ঘুরে ভোট চাইতে যাবেন, আমরা তা মেনে নিব না। আপনি ভাবছেন, আপনি ক্ষমতায় থেকে যাবেন। না, তা হবে না। নামতে আপনাকে হবেই।