বিএনপি প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার বিকেলে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত সিলেট-৩ উপ-নির্বাচন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন: পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে একজন জেনারেল রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। সেই জেনারেল হলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৮ সালের পহেলা সেপ্টেম্বর এই দিনে, তিনি সামরিক বাহিনীর প্রধান হয়েও সকল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে দলটি হচ্ছে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পর্টি- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
যোগ করেন: সেই দলটি তিনি শুরু করেছিলেন কাকে নিয়ে? ইয়াহিয়া খানের নির্বাচন কমিশনার যিনি ছিলেন আবদুস সাত্তারকে নিয়ে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তাদের অন্যতম শাহ আজিজকে নিয়ে। সেই দিন থেকে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র।
মেজর জিয়াউর রহমানের সেই ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে গিয়েছে বলে এসময় মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা।
তিনি আরও বলেন: নির্বাচন রাষ্ট্র সমাজ কখনো রাজনীতির বাইরে না। আমি নির্বাচনে বিএনপির কথা বলতে আসি নাই কারণ এখানে তো বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। আমি এখানে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে কিছু বলতে আসি নাই।
এসময় তিনি নৌকার প্রার্থী হাবিবুর রহমানকে ৪ সেপ্টেম্বর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করার আহ্বান জানান।
সিলেট-৩ আসনে সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী কয়েস করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ মার্চ মারা যান। এরপরে এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। এই আসনে ভোটারসংখ্যা মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৯ জন।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীরা সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব ছাড়াও এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক এবং বিএনপি নেতা শফি আহমেদ চৌধুরী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে যাচ্ছেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর সিলেট তিন আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
মোট ১১ বার জাতীয় নির্বাচন হওয়া এই আসনে আওয়ামী লীগ চারবার, বিএনপি তিনবার এবং জাতীয় পার্টি তিনবার জয় পেয়েছে।
ফেঞ্চুগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলীর সভাপতিত্বে আবুল বাছিত টুটুলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন; কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. নাছির উদ্দীন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মী।