আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে নিষিদ্ধ করে এখন বিএনপি ৭ মার্চের কর্মসূচি পালন করছে। এটা ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা বিএনপির লোক দেখানো।
তিনি বলেন: একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামীকে দিয়ে স্বাধীনতার মাসে কর্মসূচি উদ্বোধন করিয়ে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে বেঈমানী করেছে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সাথে যৌথ সভায় তিনি বলেন: স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তির মাহেন্দ্রক্ষণে বিএনপির নেতাদের বিকারগ্রস্থ কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতার সম্মুখিন হতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সাড়ে তিন বছরের শাসন আমলে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভিত গড়ে দিয়েছেন। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৭৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসন ও দেশবিরোধী অপশাসনে পিষ্ট হতে হয়েছে। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে সেখান থেকে তুলে উন্নত দেশের কাতারে যুক্ত করছেন।
তিনি আরও বলেন: দীর্ঘ প্রতিবন্ধকতা ও বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সিডিপির সকল শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। তার সুনিপুণ পরিকল্পনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যেই উন্নত দেশের কাতারে সামিল হতে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতার কন্যার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে চলছে তখনই একটি মহল ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
এ সময় রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশে একজন নেতার ঔদ্ধর্ত্যপূর্ণ বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। বলেন: রাজশাহীতে বিএনপি নেতা যে আবারও ১৫ আগষ্টের ঘটনা ঘটানোর কথা বলেছেন সে বিষয়ে বিএনপি এখনও কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না দেওয়ায় প্রমাণিত হয়েছে এটা তাদের দলগত অবস্থান।
এসময় মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান; যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম; সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম; দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতারা।