চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

বিএনপির মতো এরশাদ সাম্প্রদায়িক মদদ পাপে দুষ্ট: নাসিম

বাড়লেও গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে

একাত্তর পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামায়াতের মতো হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন ১৪দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে শামিম আহমেদ রচিত শেখ হাসিনা ও ঘুরে দাঁড়ানোর বাংলাদেশ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এরশাদ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ প্রবীণ নেতা বলেন: সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এই পাপের (স্বাধীনতা বিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির লালন) বাইরে নন। ক্ষমতায় থাকতে তিনিও একাত্তরের ঘাতক ও পঁচাত্তরের খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছেন।

সঙ্গে যোগ করেন: সাম্প্রদায়িক শক্তি যখন আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশকে গ্রাস করছিল তখন শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্বে বাংলাদেশকে আমরা আবার ফিরে পেয়েছি। মনে রাখতে হবে ওই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না।

ভুল হলে আওয়ামী লীগের সমালোচনা এমনকি সরকারের সমালোচনা করতে বাধা নেই মন্তব্য করে নাসিম বলেন: আওয়ামী লীগের সমালোচনা করেন, সরকারের সমালোচনা করেন; কোন সমস্যা নেই।কিন্তু ওই সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সহযোগিতা করার অর্থ হলো একাত্তরে যারা আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলো, লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছিলো তাদেরকে সহায়তা করা।

এই অপশক্তিকে বারবার বিএনপি জামায়াত গোষ্ঠী সহায়তা করেছে বলে এসময় অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আজ এই পরিণতি কেন? প্রশ্ন রেখে সরকারের সাবেক এ মন্ত্রী বলেন: বাংলাদেশের জনগণ তাদের (বিএনপি) পাপ ভুলতে পারেনি। সেই পাপের ফল খালেদা জিয়া ভোগ করছেন। আমরা চাই না কোন রাজনৈতিক নেতা জেল খাটুক। তারপরও বলতে বাধ্য হচ্ছি বিএনপি অতীতে যে পাপ করেছে তার ফল হিসেবেই খালেদা জিয়া এখন জেলে।

গ্যাসের দাম নিয়ে সৃষ্ট জন-উদ্বেগ নিয়েও কথা বলেন তিনি।  আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করে আওয়ামী লীগের এ প্রেসিডিয়াম মেম্বার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের (নাম উল্লেখ না করে) প্রতি আহ্বান জানান গ্যাসের মূল্য যেনো ততোটুকুই বাড়ানো হয় যা না বাড়ালেই নয়। সর্বোপরি পরিস্থিতি যেন জনগণের সহনীয় থাকে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর হাতে।