গণতন্ত্র রক্ষায় বিএনপি আজ থেকে আন্দোলন শুরু করবে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন: বিএনপির গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হাস্যকর, তাদের গণতন্ত্র দ্বৈতনীতির এবং স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ।
শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন: বিএনপির গণতন্ত্র স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। তারা আন্দোলন কিভাবে করবে? তাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদে যোগ দিলেন না। কিন্তু ওই ওই আসনে উপ নির্বাচনে তারা প্রার্থী দিলেন! তাদের দলের ৫ জন সংসদ সদস্য সংসদে যোগ দিলেন, মহিলা আসন থেকে একজনকে মনোনয়ন দেয়া হলো; তিনিও সংসদে যোগ দিলেন। কিন্তু সেই দলের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে যোগ দিলেন না।
বিএনপির এরকম দ্বৈতনীতির গণতন্ত্র হাস্যকর বলে দাবি করেন তিনি। বিএনপির পরবর্তী কাউন্সিলে তারেক রহমানকে চেয়াপারসন করা হতে পারে এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় শীর্ষ সাংগঠনিক এ নেতা বলেন: বিএনপির যেভাবে জন্ম, যেভাবে বিকাশ তাতে তারা এমনটা করলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে এটা প্রমাণ করেছে তারা আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল।
আন্দোলন করে বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে ঘোষণা দিয়েছে তার জবাবে কাদের বলেন: তারা যদি পারে আন্দোলন করে তাদের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করে নিক। যদি সাহস থাকে, সক্ষমতা থাকে তারা আন্দোলন করুক। আমাদের কোন সমস্যা নেই। গত ১০ বছরে দশ মিনিটের আন্দোলন আমরা দেখতে পেলাম না। তাদের আন্দোলন কবে দেখতে পাবো এটা আমাদের জানা নেই।
উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহীদের বিষয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন:বিদ্রোহীদের ব্যাপারে আমরা কঠোর হবো। আমাদের নেত্রী সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে আসলে আমাদের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং হবে। সেখানে আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করব।
সম্প্রতি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন সংসদে উপজেলা নির্বাচনের উদাহরণ তুলে ধরে বলছেন, নির্বাচনের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে৷
নিজ জোটের শরিক দলের অন্যতম শীর্ষ নেতার এমন মন্তব্য আওয়ামী লীগ কিভাবে মূল্যায়ন করছে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন: সেটা তার ব্যক্তিগত মত হয়ে থাকতে পারে।আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। এখন বিরোধী দল যদি নির্বাচনে না আসে শুধু আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে তাহলে তো সব জায়গায় অন-কনটেস্টে নির্বাচিত হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন: মানুষ আগ্রহ হারাবে। এটা আবার দৃষ্টিকটু হয়ে যেত। মেনন ভাই যেটা বলেছেন আমি তাকে বলব, তারা যদি সব জায়গায় প্রার্থী দিতে পারতেন তাহলে বিষয়টা অন্যরকম হতো।