নির্বাচন কমিশনের ভুলের কারণে নয়, বরং রাজনৈতিক কারণে দলীয় সিদ্ধান্তে দুই ঘণ্টার মাথায় বিএনপি সিটি নির্বাচন বর্জন করেছিলো বলে দাবি করেছে ইসি। তাই পৌর নির্বাচন বয়কট না করে ইসির প্রতি আস্থা রেখে মাঠে নামার আহ্বান জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী।
সর্বশেষ ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট শুরুর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নির্বাচন বয়কট করেছিলো বিএনপি। এবার প্রথমবারের মতো দলীয় ব্যানারে ২৩৬টি পৌরসভার নির্বাচন।
নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সামনে ২৩৬টি মেয়র পদে ভোটের লড়াই। সিটি নির্বাচনে খারাপ অভিজ্ঞতা হলেও বিএনপিকে নির্বাচনী মাঠে চায় নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) জাবেদ আলী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাইবো তারা আসবেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিযোগিতা করবেন। আসলে খেলা তখনই ভালো হয় যখন খেলে গোল দেয়া যায়। ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে জেতা গেলেও তো জেতার আসল আমেজ থাকে না। গতবার সিটি নির্বাচনে তারা আমাদের ওপর অনাস্থায় চলে গেছে তা মনে করি না। ত্রুটি-বিচ্যুতির যেসব অভিযোগ এসেছিলো তার বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছিলো কমিশন।
নতুন আইনে সরকারি সুবিধারভাগীরা প্রচারণায় যেতে পারবেন না, কিন্তু অন্য দলের শীর্ষ নেতারা প্রচারণা চালাতে পারবেন। আইনের এ ধারাকে যৌক্তিক মনে করছে না ইসি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড আসলে কার জন্য, দলের জন্য নাকি প্রার্থীর জন্য? সেখানে একদল যেতে পারবে আরেক দল যেতে পারবে না এমন হলে লেভেল প্লেইং ফিল্ড কিভাবে হয় তা রাজনৈতিক দলগুলোকেই জিজ্ঞেস করা উচিৎ’।
ইসির নিজস্ব লোকবল নেই বলেই বরাবরের মতো এবারও প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার করা হচ্ছে জানিয়ে ইসি বলেছে, কেউ পক্ষপাত করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।