একাদশ জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ঘৃণা ঘরে বিএনপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে দাবি করে জাতীয় সংসদের বিরোধীদল জাতীয় পার্টি দাবি করেছে, নির্বাচনে জনগণ নৌকার পক্ষে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়েছে। ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে জঙ্গি-সন্ত্রাসী, যুদ্ধাপরাধী-স্বাধীনতাবিরোধী দুর্নীতিবাজদের জোট বিএনপি-জামায়াতকে। তাই জনগণের কাছে প্রত্যাখ্যাত এই দলকে নিয়ে সংসদে অযথা কথা বলে তাদের প্রচার বাড়ানো মোটেই উচিত নয়।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে ঢাকা-০৪ সাংসদীয় আসন থেকে নির্বাচিত বিরোধী দলের সাংসদ আবুল হোসেন বাবলা বলেন: সংসদে সরকারি দলের কিছু সদস্য একটি বিশেষ দলের (বিএনপি) নেতা-নেত্রীদের নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এই বিশেষ দলটি জনগণকে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। অফিসে বসে প্রেস কনফারেন্স ছাড়া এই দলটির আর কোনও কাজ নেই। অথচ সরকারি দলের কোনও কোনও সদস্য সংসদে এই দলটি নিয়ে বক্তব্য দিয়ে তাদের প্রচার কাজ ভালভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন।
যোগ করেন: এই দলটি বারবার আন্দোলন-সংগ্রামের ডাক দিলেও জনগণ তাতে সাড়া দেয়নি। তাই জনগণের করের টাকায় পরিচালিত সংসদে দলটির সমালোচনা করে প্রচারে আনার অর্থ হয় না।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির সম্পর্ক ঐতিহাসিক দাবি করে শেখ হাসিনার ঐক্যের ডাকে সবসময় জাতীয় পার্টি সাড়া দেবে বলে আলোচনায় উল্লেখ করেন বাবলা। সঙ্গে দলের প্রেসিডেন্ট ও বিরোধীদলের নেতা সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদকে স্বৈরাচার না বলার জন্য সরকার দলীয় সাংসদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। স্বৈরাচার সম্বোধনে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় বলে এসময় দাবি করেন বাবলা।
জাতীয় পার্টির এই সংসদ সদস্য বলেন: রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জেগে আছেন বলেই দেশের ১৭ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন। তবে শুধু উন্নয়ন করলেই হবে না, দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এদিন আলোচনায় অংশ নেন হুইপ আতিউর রহমান আতিক, সরকারি দলের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, তাহমিনা বেগম, কাজী নাবিল আহমেদ, শামসুন নাহার, সাইমুম সরওয়ার কমল, অপরাজিতা হক, শফিকুল আজম খান, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, আনেয়ার হোসেন খান, রত্না আহমেদ, বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, মাসুদা এম রশিদ চৌধুরীসহ অনেকে।