বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে সিম নিবন্ধন বন্ধ করতে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন এক ‘নাগরিক’। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন সচিব ও মোবাইল ফোন অপরারেটসহ ১১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বুধবার ফ্যাক্স ও রেজিস্ট্রি ডাকে ওই নোটিশ পাঠান খায়রুল হাসান সরকার নামের এক ব্যক্তি, যিনি রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাসিন্দা হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব জানান, নোটিশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে বায়েমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন বন্ধ করে গণমাধ্যমে তা প্রচার এবং নোটিশদাতাকে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে নোটিশে।
ওই দুই সচিব ছাড়া বিটিআরসি, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার পুলিশ কমিশনার, গ্রামীণ ফোন, রবি, এয়ারটেল, বাংলালিংক, টেলিটক ও সিটিসেল কর্তৃপক্ষ বরাবর এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে নিজের তথ্য পাচারসহ নানান ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যায়। তাই সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষ হলেও সেই আশঙ্কা থেকেই এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান আইনজীবী হুমায়ূন কবির।
তিনি আরও জানান, তথ্য সংগ্রহের কার্যক্রম সরকারি বা কোনো সংবিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হতে হবে। কিন্তু এখানে প্রাইভেট কোম্পানিকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যা ‘বেআইনি’।
“বিদ্যমান আইন এটি অনুমমোদন দেয় না। এমনকি কোন আইনের ভিত্তিতে বা কোন আদেশের ভিত্তিতে বায়েমেট্রিক পদ্ধতিতে তথ্য নিচ্ছে তাও আমরা জানি না।”
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আঙ্গুলের ছাপ বা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধন শুরু করে অপারেটরগুলো। তখন থেকে আঙুলের ছাপ ছাড়া আর কোনো সিম কেনাও যাচ্ছে না।