দুরন্ত গতি আর স্কিলে মুগ্ধ হয়েই তাকে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। জেমস রদ্রিগেজকে রিয়ালের ভবিষ্যৎ হিসেবেও দেখতে শুরু করেছিলেন অনেকে। কিন্তু এক-দেড়টা মৌসুম পরই হঠাৎ একাদশে অনিয়মিত হয়ে পড়েন কলম্বিয়ান তারকা। পরে তাকে ধারে বিক্রি করা হয় বায়ার্ন মিউনিখে।
তবে ক্লাব বদলালেও নিজের ফুটবল ধরনটা বদলাননি তিনি। গতি আর স্কিলেও ধার কমেনি রদ্রিগেজের। জিদানের দলে ব্রাত্য হয়ে এখন ‘জার্মান কাইজার’দের হয়ে রীতিমত ফুল ফোটাচ্ছেন রিয়ালের ব্যাকবেঞ্চার।
শনিবার বুন্দেসলিগায় রদ্রিগেজ ও রবার্ট লেভান্ডোভস্কির গোলে ২-০তে জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে ১০ জনের লেইপজিগের বিপক্ষে জয়ী ম্যাচে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেন রদ্রিগেজ।
ম্যাচের ১৯ মিনিটেই দলকে লিড এনে দেন রদ্রিগেজ। আর ৩৮ মিনিটে দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন লেভান্ডোভস্কি। সেই গোলেও অবদান আছে কলম্বিয়ান তারকার। তাদের দুরন্ত পারফরম্যান্সে ভর করে কার্লো আনচেলোত্তির বিদায়ের পর সাবেক কোচ ইয়ুপ হেইঙ্কসের অধীনে টানা পঞ্চম জয় পেল বায়ার্ন।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর গোল না পাওয়া বায়ার্ন মাঠ ছেড়েছে একটা শঙ্কা নিয়ে। ইনজুরিতে পড়েছেন লেভান্ডোভস্কি। মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেল্টিকের বিপক্ষে ম্যাচে পোলিশ তারকাকে পাওয়া নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তায় পড়েছে বুন্দেসলিগার শীর্ষস্থানীয়রা।
বায়ার্নের হয়ে পাঁচ ম্যাচে দুটি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন জেমস। ম্যাচ শেষে তাই রদ্রিগেজের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন কোচ হেইঙ্কস।
এদিনই আবার বেশ কয়েকটি নজিরও গড়েছে বায়ার্ন। ঘরের মাঠে টানা ২৭ ম্যাচে অপরাজিত তারা। যার মধ্য ২১টিতে জয় ও ছয়টিতে ড্র করেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। আর স্ট্রাইকার লেভান্ডোভস্কি টানা পাঁচটি হোম ম্যাচে গোল করার রেকর্ড ছুঁয়েছেন। ২০০২-০৩ মৌসুমে সবশেষ এই কাজটি করেছিলেন এলবার। এছাড়া হেইঙ্কস বুন্দেসলিগার একমাত্র কোচ যিনি টানা তিনটি ম্যাচে কোনও গোল হজম করেননি।