রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়ার ‘রসুল ভিলা’ নামক একটি বাড়িতে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বাসায় ঢুকে বৃদ্ধা মালিক আমেনা বেগমকে (৬৫) খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন: কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা জানতে প্রাথমিক তদন্ত চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরই আমেনা বেগমের আত্মীয়রা মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে স্থানীয় মেট্রোপলিটন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সোহরাওয়ার্দী হাসাপাতলে নেওয়ার সময় মৃত্যু হয় তার।
সরেজমিনে জানা যায়: পাঁচ তলা বাসার দ্বিতীয় তলায় ছোট ছেলের সঙ্গে থাকতেন আমেনা বেগম। তার স্বামীর নাম রসুল মিয়া। আমেনা বেগমের তিন মেয়ে এবং তিন ছেলে। বাড়ি ভাড়ার যাবতীয় বিষয়গুলো তিনি নিজেই দেখতেন। তার বড় ছেলে বাড়ি দেখাশুনা করে, ছোট ছেলে দেশের বাইরে থাকে আর মেঝ ছেলে গত বছরের আগস্ট মাসে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম নাখাল পাড়ার ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়: পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট, র্যাবসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বিভিন্ন তথ্য উপাও সংগ্রহে কাজ করছেন।
আমেনা বেগমের ছোট ছেলের স্ত্রী বর্ষা চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এক যুবক বাড়ি ভাড়া নিতে আসে। আমার শ্বাশুরি দরজা খুলে দিলে কোন তলা ভাড়া হবে জানতে চায়, পরে শাশুড়ি বলে বাসার নিচতলা এবং চারতলা ভাড়া হবে।
‘তিনি বাসা দেখাতে যাচ্ছেন বলে নিচতলায় যান। এরপর মিনিট বিশেক পর তিনি উপরে আসছেন না দেখে আমি নিচতলায় গিয়ে দরজা খোলা পাই। রান্না ঘরে প্রবেশ করলে রক্তাক্ত অবস্থায় শাশুড়িকে দেখতে পাই’, বলেন বর্ষা।
কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিল কিনা জানতে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে কারোই কোন শত্রুতা ছিল না।
রসুল ভিলার নিচতলার ভাড়াটিয়া মনি বেগম বলেন: দুপুর চিৎকারের শব্দ শুনে আমি দরজা খুলে ঘটনার খবর জানতে পারি।
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাত্যকি কবিরাজ বলেন: ঘটনা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, আমরা সব যাচাই-বাছাই করছি কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইতোমধ্যে আমরা পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলেছি।
ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ক্রাইম সিন ইউনিটের পরিদর্শক মোর্তাজা কবীর বলেন: ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থলে এসে বেশকিছু আলামত জব্দ করেছি।