বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়েরা। পরিণতি বুঝতে পেরে বিয়ে ঠেকাতে নিজেরাই দারস্ত হচ্ছে প্রশাসনের, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের।
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও অফিসের তথ্য মতে, ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া ৫৫ ভাগ মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেয়ার আগেই শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়ত। এসব মেয়েরা শিকার হতো বাল্যবিয়ের। অজ্ঞতা, দারিদ্রতা, যৌতুক এবং সামাজিক নিরাপত্তার অভাবেই কিশোরী কন্যাদের বিয়ে দিতেন অভিভাবকরা।
এ অবস্থায় নিজেদের বিয়ে ঠেকাতে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীরা দ্বারস্থ হচ্ছে প্রশাসনের।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় উপজেলা প্রশাসন। ওই প্রস্তাব অনুমোদন হলে শুরু হয় ২০১৬ সালে সেপ্টেম্বরে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কর্মসূচি। স্কুলে স্কুলে হচ্ছে সভা-সেমিনার আর পাড়া-মহল্লায় জারি গানসহ ব্যাপক প্রচারণা।
বাল্যবিয়ে ঠেকাতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আটটি ইউনিয়নের ৬২টি স্কুল-মাদ্রাসার ১৭ হাজার শিক্ষার্থীকে স্টুডেন্ট ডেটাবেজের আওতায় আনা হয়েছে। দরিদ্র ছাত্র-ছাত্রীদের দেয়া হচ্ছে শিক্ষা সহায়তা।
এছাড়াও কাজী ও নিকাহ রেজিস্টার, মসজিদের ইমাম এবং পুরোহিতদেরও এই কার্যক্রমের আওতায় আনার পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় গঠন করা হয়েছে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি।
আরও দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: