পিএসজিতে নাম লেখানোর দুই বছরেরও কম সময়ের মাথায় বার্সেলোনায় প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে নেইমারের। মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে কাটানো ন্যু ক্যাম্পের সেই জীবন ভীষণভাবে অনুভব করেন বলেই যতদ্রুত সম্ভব লিগ ওয়ান ছেড়ে চলে আসবেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। এমন খবরই দিচ্ছে স্পেনের সংবাদ মাধ্যমগুলো।
২০১৭ সালের গ্রীষ্মে ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে নাম লেখান নেইমার। স্প্যানিশ মিডিয়ার খবর, বছর দেড়েক যেতে না যেতেই ন্যু ক্যাম্পে ফিরতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছেন ২৬ বছরের ব্রাজিলিয়ান তারকা।
কাতালানদের সঙ্গে তার সুখের জীবনটা প্যারিসে খুঁজে পান না। আর বার্সেলোনায় পাওয়া সাফল্যও পিএসজিতে পাচ্ছেন না। তাই চলতি মৌসুম শেষেই তিনি বার্সেলোনায় ফেরার চেষ্টা করবেন বলে জানাচ্ছে প্রভাবশালী স্প্যানিশ দুই ক্রীড়া দৈনিক এএস ও মুন্ডো দেপোর্তিভো।
পত্রিকা দুটি বলছে, ফ্রেঞ্চ লিগে প্রতিদ্বন্দ্বীতার অভাবও নেইমারকে হতাশ করে চলেছে। এ লিগে কী ঘটবে, তা অনেকেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারছেন সহজেই। কিন্তু স্প্যানিশ লা লিগায় তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলে, যা খুবই উপভোগ করতেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
তিনি কেন বার্সেলোনা ছেড়েছিলেন তা অনেকেরই জানা। বার্সায় তাকে খেলতে হতো লিওনেল মেসির ছায়ায়। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডই বার্সেলোনার প্রধান খেলোয়াড়, যাকে ঘিরে দলটির আক্রমণ কিংবা পরিকল্পনা সাজানো হয়। সেখানে অন্যরা কখনোই মেসির চেয়ে প্রাধান্য পান না। ব্রাজিলের অনেক সাবেক গ্রেটই নেইমারকে পরামর্শ দিয়েছেন, ব্যালন ডি’অর জিততে হলে মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পিএসজিতে গেলেই তিনি শেষ পর্যন্ত মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ব্যালন ডি’অর জিততে সমর্থ হবেন।
এ পরামর্শ মনে ধরে নেইমারের। তাই বার্সার অনুরোধ উপেক্ষা করেই দলবদলের বিশ্বরেকর্ড গড়ে প্যারিসে পাড়ি জমান। তবে মন পড়ে থাকে বার্সেলোনায়।
প্যারিসে ভালোই করছেন নেইমার। কিন্তু সেখানে ‘বড় খেলোয়াড়’ হিসেবে তার মর্যাদা এখন ম্লান হওয়ার পথে। কেননা অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সে ১৯ বছরেই ফরাসি ফুটবলের সুপারস্টারে পরিণত হয়েছেন কাইলিয়ান এমবাপে। বলতে গেলে, তিনিই এখন পিএসজির মূল পারফর্মার। সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে এমবাপেকে বলা হয়েছে ‘ফুটবলের ভবিষ্যৎ’। তিনি সত্যিকার অর্থেই ফুটবলের আগামীর সুপারস্টার এবং পিএসজির ভবিষ্যৎ।
মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে গিয়ে এখন আরেক প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে পড়ে গেছেন নেইমার। অচিরেই পিএসজিতে তার কদরও অনেকটা কমে যাবে, সেটিও বুঝতে পারছেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা। তাই হয়তো চলে যেতে চান পিএসজি ছেড়ে।