‘তোমার সঙ্গে বার্সেলোনায় খেলতে চাই।’— জুভেন্টাসে থাকাকালীন ফিফা ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে লিওনেল মেসিকে বলেছিলেন পল পগবা। স্বপ্নটা আপাতত ভুলেই যেতে হবে ফরাসি বিশ্বকাপজয়ীর। কিন্তু, পগবা চাইলেই এলএমটেনের সঙ্গে মাঠের জুটিটা গড়তে পারবেন!
কিভাবে? ক্যাম্প ন্যুয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক চুকিয়ে প্যারিসে পাড়ি জমিয়েছেন মেসি। এদিকে, আগামী জুনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে চুক্তির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হবেন পগবা। বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডকে দলে টানতে তাই মরিয়া ইউরোপের বড় বড় ক্লাব। দৌড়ে ভালোই এগিয়ে মেসির ক্লাব পিএসজিও। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে স্বপ্ন পূরণও হতে পারে পগবার!
রেড ডেভিলদের যুব প্রকল্পে বেড়ে ওঠা পগবা যোগ দিয়েছিলেন জুভেন্টাসে। চার বছরে নিজেকে গড়েন বিশ্বসেরা মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে। ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরেও এসেছেন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে। জুভেন্টাস থেকে ম্যানইউতে ফিরেছেন ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডে। দলবদলের বিশ্ব রেকর্ড গড়া সেই পগবাকেই চাই জাভি হার্নান্দেজের!
পুনর্গঠনের মাঝ দিয়ে যাওয়া ধুঁকতে থাকা বার্সার মাঝমাঠের নায়ক হিসেবে ২৮ বর্ষী ফরোয়ার্ডকে চাই জাভির। চারমাস পর ম্যানইউ থেকে পগবা ফ্রি এজেন্ট হলেই চুক্তি করাতে চায় কাতালান ক্লাবটি। বার্সার ভবিষৎ পরিকল্পনার অংশও ফরাসি সুপারস্টার। গাভি, নিকো গঞ্জালেসের সঙ্গী হিসেবে ‘বুড়ো’ সার্জিও বুস্কেটসের পরিবর্তে মিডফিল্ডে তাকে খুব করে চাইছে স্প্যানিশ ক্লাবটি। তবে বিষয়টি ততটা সহজ নয়!
ম্যানইউর সঙ্গে চুক্তি শেষ হলে যে তা বাড়িয়ে নিবেন, এমন ইঙ্গিত অবশ্য দেননি ফ্রেঞ্চম্যান। সুযোগে পগবাকে টানতে ইউরোপের নামিদামী ক্লাবগুলোর যে কাড়াকাড়ি পড়ে যাবে, সেটা না বললেও চলে। ইতোমধ্যে মেসি-নেইমারের ক্লাব পিএসজি তাকে ‘বাম্পার প্যাকেজের’ অফারও দিয়ে রেখেছে, বলে খবর। আবার, খোদ পগবা চাইছে নিজেকে গড়ে দেয়া তুরিনে ফিরতে।
শুধু জুভেন্টাস ও পিএসজি-ই না, ফরাসি তারকাকে পেতে দৌড়ঝাপ করছে রিয়াল মাদ্রিদও। শক্তিশালী আর্থিক এসব ক্লাবের বিপক্ষে লড়ে পগবাকে বার্সায় আনা অবশ্য জাভির জন্য স্বপ্নই হতে পারে!