অনেক দলই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছে। তবুও মঙ্গলবার রাতে ইউরোপজুড়ে বেশকিছু উত্তেজক ম্যাচ থাকছে। এদিন থাকা আটটি ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে হাড্ডাহাড্ডি হতে যাচ্ছে লিভারপুল বনাম নাপোলি ম্যাচ।
প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের ভাগ্য সরু সুতোয় ঝুলে আছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলের। কার্লো আনচেলত্তির দল যেখানে ড্র করলেও নকআউটে চলে যাবে, সেখানে লিভারপুলকে এই ম্যাচ জিততেই হবে।
শুধু যে জিতলেই হবে তাও না। মোহামেদ সালাহ-ফিরমিনোদের তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের আরেক ম্যাচ পিএসজি ও রেডস্টার বেলগ্রেডের দিকেও। অথবা নিজেদের নাপোলিকে হারাতে হবে অনেক বড় ব্যবধানে।
লিভারপুল ১-০ গোলে জিতলে কোনো জটিলতা নেই। কিন্তু বিপদ হবে গোল খেয়ে বসলে। সেক্ষেত্রে ব্যবধান হতে হবে ন্যূনতম দুই গোলের। নয়তো গতবারের ফাইনালিস্টদের এবার গ্রুপ পর্বেই দর্শক বনে যেতে হবে।
পাঁচ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ’সি’তে শীর্ষে নাপলি। দুই নম্বরে থাকা পিএসজি পয়েন্ট পাঁচ ম্যাচে আট। সমানসংখ্যক ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে তিননম্বরে লিভারপুল। নেইমার-এমবাপে-কাভানিদের পিএসজি নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণ, রেডস্টারকে কোনোমতে হারালেই চলবে তাদের। আর লিভারপুল যদি নাপোলির বিপক্ষে জিততে না পারে, তাহলে ড্র করলেই নকআউটে ফরাসি জায়ান্টরা।
বার্সেলোনা আগেই নকআউট চলে যাওয়ায় কোচ আর্নেস্টো ভালভার্দের সামনে সুযোগ তরুণ ফুটবলারদের দেখে নেয়ার। কিন্তু তাদের প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ।
সমীকরণ সহজ। মঙ্গলবার রাতে গ্রুপের শেষ ম্যাচের পর ইন্টার মিলাল ও টটেনহ্যামের যার পয়েন্ট বেশি থাকবে, সেই দলই চলে যাবে নকআউটে। দুই দলই দাঁড়িয়ে আছে ৭ পয়েন্টে। আইন্দোভেন পাঁচ ম্যাচে জোগার করেছে মাত্র এক পয়েন্ট। ঘরের মাঠে ইন্টারের প্রতিপক্ষ সে তুলনায় তাই সহজ। তবে হ্যারি কেনদের চ্যালেঞ্জ বার্সেলোনাকে হারানো।
রাতে অন্য ম্যাচে মাঠে নামবে মোনাকো-বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ-ব্রুজ, গ্যালাতসারে-পোর্তো ও শালকে জিরোফোর-লোকেটিভ মস্কো।