মূল স্কোয়াডের ১০ খেলোয়াড় আছেন করোনা পজিটিভ। বিপদ এখানেই শেষ নয় বার্সেলোনার। কোচ জাভি হার্নান্দেজও সংক্রমিত। এরমধ্যেই রোববার ম্যাচ খেলতে হবে। লিগে মায়োর্কার বিপক্ষে দল সাজানোই যেখানে কঠিন হয়ে গেছে। জাভি তাই ম্যাচ স্থগিত না করাকে পাগলামিই বলছেন।
‘আমি উদ্বিগ্ন। লা লিগার ম্যাচ স্থগিত করবে না এটা আমার কাছে পাগলামি মনে হচ্ছে। এভাবে খেলার কোনো মানেই হয় না। আমরা খুব সীমাবদ্ধতার (খেলোয়াড় সঙ্কট) ভেতর আছি। এক্ষেত্রে সাধারণ বোধ বিচারকে প্রাধান্য দেয়া উচিৎ ছিল।’
বার্সার করোনা পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ জেনেও লা লিগা কর্তৃপক্ষ খেলা বন্ধ করছে না। সেটি ক্ষুব্ধই করে তুলছে বার্সা কোচকে। বিপদ আরও বাড়িয়েছে ৭ খেলোয়াড়ের নিষেধাজ্ঞা ও চোট সমস্যা থাকা। সান মোইক্সে হতে চলা রাতের ম্যাচকে ঘিরে তাই বার্সার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা।
লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী, নিয়মিত একাদশের পাঁচ খেলোয়াড় ও একজন গোলরক্ষকসহ স্কোয়াডের মোট ১৩ জন যদি খেলার উপযুক্ত থাকে, সেক্ষেত্রে সূচি অনুযায়ী যেকোনো দল মাঠে নামতে বাধ্য। নিয়মের মারপ্যাঁচে কাতালানদের নামতেই হচ্ছে মায়োর্কার বিপক্ষে।
ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে বার্সেলোনার ‘বি’ দল খেলাতে নামানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাভি। পাশাপাশি জানিয়েছেন, তার দলের ১৭ খেলোয়াড়কে পাওয়া যাবে না।
লিগের নিয়মকে কঠিন বলছেন বার্সা কোচ, ‘মায়োর্কাও একই পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। যদিও ততটা গুরুতর নয়। বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যেই আমরা তিন পয়েন্ট পাওয়ার জন্য সেখানে যাবো।’
ক্লেমেন্ট লেংলেট, দানি আলভেজ, স্যামুয়েল উমতিতি, উসমানে ডেম্বেলে, গ্যাভি, আলেজান্দ্র বালদে, ফিলিপে কৌতিনহো, এজ আবদে, জর্ডি আলবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর আগেই পাওয়া গিয়েছিল। তালিকায় নতুন সংযোজন সার্জিনো ডেস্ট।
বার্সেলোনা কোচ অবশ্য জানিয়েছেন উমতিতির সবশেষ পিসিআর টেস্টে করোনা নেগেটিভ এসেছে। তিনি খেলতে পারবেন। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে সার্জিও বুসকেটস খেলতে পারবেন না।
মার্টিন ব্র্যাথওয়েট ও সার্জিও রবের্তো চোটের কারণে সাইডলাইনেই থাকছেন। মেমফিস ডিপাই, আনসু ফাতি ও পেদ্রি আছেন মাঠে ফেরার অপেক্ষায়।