বার্লিনের ঐতিহাসিক ওলিম্পিক স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত জয় হলো বার্সেলোনার। এই স্টেডিয়াম থেকেই ২০০৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপ ঘরে তুলেছিলো ইতালি। শনিবার রাতেও ইটালির প্রতিনিধি হিসেবে ছিলো ‘ইটালিয়ান চ্যাম্পিয়ন’ জুভেন্টাস। কিন্ত এবার আর হলো না। কাপ ঘরে তুললো বার্সেলোনা।
বাংলাদেশ সময় রাত পৌণে একটায় শুরু হওয়া ম্যাচে চ্যাম্পিয়নদের মতোই শুরু করে বার্সা।
খেলার প্রথম চার মিনিটে ইবান রাকেটিস গোল করে এগিয়ে দেন বার্সেলোনাকে। যা কিনা চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালে তৃতীয় দ্রুততম গোলের রেকর্ড।
এরপর গোলের দেখা পায় নি কোনো দল । প্রথমার্ধ এক গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করে বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুতে হতেই দু’দলের আক্রমণের ধার বেড়ে যায়।
খেলার ৫৫ মিনিটে জুভেন্টাসের তেভেজের বাড়ানো বলে পা লাগিয়ে গোল করেন মোরটা। ফলাফল সমতা।
খেলার ৬৯ মিনিটে গোল করেন লুইস সুয়ারেজ। ৭১ মিনিটে নেইমারের গোলটি বাতিল না হলে বার্সা তখনই লিড পায় ৩-১ গোলের।
কিন্ত কথা রেখেছেন নেইমা। শেষ বাঁশি বাজার আগে গোল করে বসেন। ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন বার্সেলোনা।
বার্সার মেসি, নেইমার আর সুয়ারেজে গড়া লাইন আপকে রোখা প্রায় অসম্ভবই বলেছিলেন জুভেন্টাস কোচ। শেষ পর্যন্ত তার কথাই সত্য বলে প্রমাণ হলো।
মৌসুম শেষের এই ফাইনালের দিকে তাকিয়ে ছিলো ইউরোপসহ গোটা ফুটবল দুনিয়া। দুই ফাইনালিস্টের সামনেই মৌসুমে ট্রেবল জয়ের হাতছানি ছিলো। চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনালের আগে বার্সেলোনা জিতেছিলো স্প্যানিশ লা-লিগা ও কোপা ডেল-রে। জুভেন্টাস ঘরে তুলেছিলো ইটালিয়ান সিরি-আ ও ইটালিয়ান কাপ।
বিজয়ী দলের হাতে কাপ তুলে দেন ইউয়েফা সভাপতি মিশেল প্লাটিনি। ফাইনালের জন্য অ্যাডিডাস তৈরী করেছে বিশেষ ফুটবল। ফাইনাল নামাংকিত সেই ফুটবলের প্রদর্শনীও হয়েছে ঘটা করে।