জানুয়ারিতে আর্সেনাল থেকে বার্সেলোনায় এসে লা লিগায় নিজের ঝলক দেখিয়ে চলেছেন পিয়েরে-এমরিক অবামেয়াং। কাতালান ক্লাবটির ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়া গ্যাবনিজ এই স্ট্রাইকারের জোড়া গোলে সেল্টা ভিগোকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সা।
তবে জয়টি উপভোগ করতে পারেনি বার্সেলোনা। মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ায় ৬৮ মিনিটে রোনাল্ড আরাউজোর পরিবর্তে ক্লেমেন্ট লেংলেটকে মাঠে নামান জাভি হার্নান্দেজ। বল হেড করতে গিয়ে গ্যাভি ও আরাউজো একইসঙ্গে শুন্যে লাফিয়েছিলেন। গ্যাভি হেড করতে গিয়ে আরাউজোর মাথায় আঘাত করে বসেন।
আরাউজো মেডিকেল টিমের সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসায় উঠে দাঁড়িয়ে খানিকক্ষণ হাঁটার পর আবার পড়ে যান। মাঠে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
ম্যাচ শেষে আরাউজোকে নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে কোচ জাভি হার্নান্দেজ বলেন, ‘এটা বড় ভয়ের কারণ ছিল। তার অবশ্য জ্ঞান রয়েছে। সে হাসপাতালে আছে এবং রাতে সেখানেই কাটাবে। ডাক্তাররা আমাদের দুশ্চিন্তা করতে বারণ করেছেন। সৌভাগ্যক্রমে আর কোনো সমস্যা নেই। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামীকালই সে বাড়ি ফিরবে।’
এ জয়ের ফলে লিগের পয়েন্ট টেবিল দুই নম্বর স্থানটি পোক্ত করেছে ব্লুগ্রানা। ৩৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৭২। শিরোপা আগেই নিশ্চিত করা রিয়াল মাদ্রিদ এক ম্যাচ কম খেলে পেয়েছে ৮১ পয়েন্ট। সেভিয়া ৬৫ পয়েন্ট নিতে তৃতীয় অবস্থানে আছে।
টেবিলের দ্বিতীয় স্থান পোক্ত হওয়ায় চার দলের স্প্যানিশ সুপার কাপে খেলার পথ বার্সেলোনার জন্য আরও মজবুত হয়েছে। এই আসরে খেলতে হলে লা লিগায় অন্তত সেরা দুইয়ে থেকে লিগ শেষ করতে হবে।
গত মঙ্গলবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে হওয়া ম্যাচের ৩০ মিনিটে ডান প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে ক্ষিপ্র গতিতে বল নিয়ে ছুটে যান উসমানে ডেম্বেলে। তার অ্যাসিস্টে বল নিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়িয়ে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন ডাচ ফরোয়ার্ড মেমফিস ডিপাই।
এরপর লাইমলাইটে নিজেকে নিয়ে আসেন অবামেয়াং। ৪১ মিনিটে বাম পায়ের শটে তিনি ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
বিরতির পর আবারো অবামেয়াংয়ের গোল। ৪৮ মিনিটে সতীর্থ ডেম্বেলের পাসে বল নিয়ে ডান পায়ে অনায়াসেই তিনি নিশানাভেদ করে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান। এবারের লা লিগায় এটি ছিল তার ১১তম গোল।
দুই মিনিট পর ইয়াগো আসপাস সেল্টার হয়ে গোল করে ব্যবধান কমান। খেলার ৫৮ মিনিটে ডিপাইকে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন জেইসন মুরিল্লো। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় সেল্টা।
কয়েকদিন আগেই প্রকাশ্যে জাভি আর্থিক সংকটের কারণে ম্যানসিটিতে যোগ দেয়া আর্লিং হালান্ডকে দলে না টানতে না পারার বিষয়ে কথা বলেছিলেন। তবে সেল্টার বিপক্ষে জয়ে সুপার কোপায় খেলার পথ মসৃণ হওয়ায় আর্থিক সংকট দূর হবে বলেও জানান জাভি।
‘দুইয়ে থেকে শেষ করা এবং সুপার কোপার জন্য যোগ্যতা অর্জন যথেষ্ট অনুপ্রেরণাদায়ক। উপরন্তু এটি আর্থিকভাবে সাহায্য করবে। কিন্তু আজ (যথেষ্ট) ভালো খেলা হয়নি, আরও ভালো খেলতে হবে। যদিও আগের দিনগুলোতে উল্টোটা হয়েছে, ভালো খেলে ফল পাইনি। সুস্পষ্টভাবে উন্নতি করতে হবে।’