রিয়াল-দুর্গ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে বার্সেলোনা। এল ক্ল্যাসিকোতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিধ্বস্ত করেছে ৪-০ গোলে। যা অন্য সবার মতো অবাক করেছে কাতালানদের কোচ জাভি হার্নান্দেজকেও।
‘আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি এমন সাফল্য পেতে। কিন্তু তাদের মাঠে ছেলেরা এতটা আগ্রাসী হবে, আমি আশাও করিনি। তাদের আরও গোছাল খেলা আশা করছিলাম। তবে আমি খুব খুশি।’
দারুণ জয়ের পর পেপ গার্দিওলার অধীনে ২০০৯ সালে বার্নাব্যু মহারণের স্মৃতি টেনে এনেছে সমর্থকরা। যে ম্যাচে ৬-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল রিয়াল। জাভির মতে অবশ্য দুটি জয়ই একই রকম।
‘এই জয়কে সেদিনের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। গোল ও খেলার দিক থেকে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। খেলোয়াড়দের মাটিতে পা রাখতে বলব। আমাদের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। এটি কেবল ট্রফি নয়। আমাদের আরও বিনয়ী হতে হবে। আমরা রাতে উদযাপন করব। তবে বিশ্রাম নিয়ে সেভিয়ার বিপক্ষে তিন পয়েন্ট তুলতে হবে ছেলেদের।’
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার কাছে এমন হারে স্বাভাবিকই হতাশ কার্লো আনচেলত্তি। হারার দায় নিজের কাঁধে নিয়েছেন রিয়াল কোচ।
‘ছেলেদের চিনতে পারছিলাম না। আমার সবকিছু গুলিয়ে যাচ্ছিল। এ পরাজয়ের সব দোষ আমার। অজুহাত দিতে চাই না। আমরা খুব বাজে ফুটবল খেলেছি। আমাদের শক্তি সংগ্রহ করার ও ট্রফি জেতার জন্য দুমাসের মতো সময় রয়েছে। আপাতত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার নিয়ে ভাবতে চাই। ছেলেদের পরাজয়ের জন্য সমর্থকদের কাছে দুঃখিত। আমাদের এখন শান্ত থাকতে হবে।’
রিয়ালের বিপক্ষে এমন জয়ের পর মনোবল বেড়েছে জাভির শিষ্যদের। লা লিগায় তিন নম্বরে উঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার দৌড়ে শক্ত অবস্থানে এখন বার্সা।
‘লা লিগা জেতার আশা করি না। এটা খুব কঠিন। আজ টপারদের দাঁতে এমন একটি দুর্দান্ত লাথি দিতে পেরে আমি খুশি। আমার প্রথম লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দৌড়ে টিকে থাকা, তারপর অন্যকিছু। এই জয় আমাদের উজ্জীবিত করবে। লক্ষ্যের পেছনে আরও শক্ত হয়ে ছুটতে হবে।’
মাঠে সতীর্থ ফরোয়ার্ডদের উজ্জীবিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন অভিজ্ঞ জেরার্ড পিকে। ম্যাচে যখন দুই গোলে লিড বার্সার, পিকেকে বলতে শোনা যায় আরও গোল করতে হবে।
‘আরও, আরও, আরও গোল করো। দুই গোলে এগিয়ে থাকায় এখানেই খুশি হয়ে যেও না।’