বাংলাদেশের খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী অসুস্থ বারী সিদ্দিকীকে দেখতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে যান সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি রোববার রাত ১০ টার দিকে রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতালে আই সিইউতে লাইফ সার্পোটে থাকা বারী সিদ্দিকীকে দেখতে যান।
এসময় মন্ত্রী ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলে বারী সিদ্দিকীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, তার দেহের মাল্টি অর্গান ফেইল করায় তাকে এই অবস্থায় দেশের বাইরে নিতে পারছি না। এখন মিরাকলের আশায় আছি। আশা করি, তিনি আবারো আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে অাসবেন।
এর আগে রোববার ছড়িয়ে পরা মৃত্যুর গুজবে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বারী সিদ্দিকীর পরিবারের সদস্যরা। শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও লাইফ সাপোর্টেই রয়েছেন তিনি। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে।
সন্ধ্যায় বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, বাবার অবস্থা এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার অবস্থার আর উন্নতি হবে না মনে করছি। দেশের বাইরে নিয়েও তার চিকিৎসা আর সম্ভব নয়। বারী সিদ্দিকীর জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান সাব্বির সিদ্দিকী।
স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছেন ‘পূবালী বাতাসে’র শিল্পী খ্যাতিমান বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী। তাকে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে।
নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আবদুল ওহাব খানের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। চিকিৎসকদের মতে, তার দুটি কিডনি অকার্যকর। তিনি বহুমূত্র রোগেও ভুগছেন। শুক্রবার রাতে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন বারী সিদ্দিকী। পরে মাঝরাতে তাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
১৯৯৯ সালে হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতে গান গেয়ে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন দীর্ঘদিন ধরে বাঁশি বাজানো বারী সিদ্দিকী। তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘সুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ ইত্যাদি।