বর্তমান সময়ে বায়ু ও পানি দূষণের সাথে সাথে ক্রমেই বেড়ে চলেছে শব্দ দূষণ। যারা শব্দ দূষণ তৈরি করছেন তারা নিজেরা যেমন এর শিকার হচ্ছেন, আশেপাশে অবস্থানকারীদেরকেও তেমনি এর শিকারে পরিণত করছেন। ফলে আমরা প্রতিনিয়ত ভয়াবহ এক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছি।
নিরব ঘাতক শব্দ দূষণের শিকার এখন শহরবাসী প্রতিটি মানুষ। সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বড়ছে এই দূষণ। দেশের বড় বড় নগরী শব্দ দূষণের মারাত্মক শিকারে পরিণত হয়েছে। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডই শব্দ দূষণের জন্য মূলত দায়ী। প্রতিদিন যেমন বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা তেমনি যানবাহনের হর্ন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়েই চলেছে পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্প-কারখানা উচ্চশব্দ সৃষ্টির মাধ্যমে শব্দ দূষণ করছে। বিভিন্ন ধরনের নির্মাণকাজের সময়ও শব্দ দূষণ হয়।
এছাড়া ট্রেনের হুইসেল, উড়োজাহাজ, আতশবাজি, মাইকের অপব্যবহার ও জেনরেটরের মাধ্যমেও প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ হচ্ছে। অন্যান্য দূষণের মত শব্দ দূষণের রয়েছে ক্ষতিকর প্রভাব। এর ফলে মানুষ বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম শ্রবণ শক্তি হ্রাস, বধিরতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, ও দুশ্চিন্তা।
নিজেদের পাশাপাশি বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছি আমাদের আগামী প্রজন্মকেও। তাই শব্দ দূষণের প্রভাব থেকে মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতিরোধে প্রয়োজন শব্দ দূষণ বিধিমালার কার্যকরী প্রয়োগ এবং যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন। এছাড়াও শব্দ দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে-