রাজধানীর এজিবি কলোনীতে ছাত্রলীগ নেতা রিজভী হাসান বাবু হত্যাকাণ্ডের সময় সন্দেহভাজন কিলারদের অবস্থান তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সনাক্ত করার চেষ্টা করছে পুলিশ ও গোয়েন্দারা। প্রধান সন্দেহভাজন যুবলীগ নেতা সাগরসহ ৬ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি।
১৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাতে মতিঝিল এজিবি কলোনী এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খুব কাছে থেকে গুলি করে হত্যা করে যুবলীগ নেতা বাবুকে। সেসময় গুলিবিদ্ধ হয় সঙ্গে থাকা আরেক যুবলীগ নেতা আহসানুল হক ইমন।
নিহত বাবুর বাবা আবুল কালামের দায়ের করা ওই হত্যা মামলা তদন্ত করছে মতিঝিল থানা পুলিশ। আর ছায়া তদন্ত করছে ডিবি।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই কুশীলবরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী গোয়েন্দারা। তাদের সনাক্ত করার আগে চলছে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে কিলারদের সনাক্ত করার চেষ্টা।
দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও হত্যাকারীদের একজনকেও সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ ও গোয়েন্দারা। তবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মারুফ হাসান সাগরসহ ৬ জনকে।
কথা ছিলো এবার ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে রিজভী হাসান বাবু। তবে বাবু ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা না হওয়ায় এর বিরোধী ছিলো তার কাছের লোকেরাই। এ কারণেই ওই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মহল বিশেষ দাবি করলেও তা আমলে নিচ্ছে না পুলিশ।
বাবুর স্ত্রী মিমকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে জানিয়েছে ডিবি।