চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘বাবা ২০টি তাঁতের শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন’

বছর ঘুরে আবার এসেছে শারদীয় দুর্গোৎসব। আর দশজনের মতো উর্মিলা শ্রাবন্তী করও যাবেন পূজা মণ্ডপে। মেতে উঠবেন দেবী বন্দনায়। এই লাক্স তারকা তার কৈশোরের পূজার স্মৃতি, উৎসবের প্রস্তুতিসহ নানা কথা শেয়ার করেছেন চ্যানেল আই অনলাইনের সঙ্গে।

ছেলেবেলায় পরিবারের সঙ্গে পূজা উদযাপনের স্মৃতির সঙ্গে কিছুদিন আগে বাবা হারানোর কষ্টের কথা বলেছেন উর্মিলা।

তিনি বলেন, পূজা এলেই মন খারাপ হয়ে যায়। কারণ বাবা ছাড়া এটি আমার আরেকটি পূজা। সেই ধাক্কা এখনো সামলে উঠতে পারিনি। বিশেষ করে উৎসব-পার্বণ বাবা ছাড়া কল্পনাই করতে পারি না। ছোটবেলা বাবার হাত ধরে মণ্ডপে যেতাম, কিন্তু এবারও বাবা ছাড়া পূজা হবে। কেমন হবে? আমি কিছুই জানি না। বাবা ছিলেন সর্বজনীন পূজা কমিটির চেয়ারম্যান। ঢাকার প্রায় প্রতিটি মণ্ডপেই তার সঙ্গে যাওয়া হতো। এবারও খুব বেশি মনে পড়বে।

পূজার একটি মধুর অভিজ্ঞতা জানিয়ে উর্মিলা বলেন, আগে দশমীতে রং খেলার সময় আমাকে তেমন কেউ রং দিত না। কিন্তু গত বছর ছিল বিয়ের পর দ্বিতীয় পূজা। মণ্ডপে বাবার সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছি। এমন সময় কয়েকজন আন্টি আমাকে প্রতিমার কাছে নিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিল। খুব আনন্দ পেয়েছি।

বাবার কাছ থেকে পূজার উপহার পাবার মধুর অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিবার পূজার অনেক দিন আগে থেকেই বাবার জন্য শপিংমল ঘুরে ঘুরে পাঞ্জাবি কিনতাম। এবার তাকে কোনো উপহার দিতে পারব না। আমিও তাঁর কাছ থেকে কোনো উপহার পাব না। মনে পড়ছে গতবারও পূজায় টাঙ্গাইলের তাঁতিবাড়ি থেকে ২০টি তাঁতের শাড়ি কিনে দিয়েছিলেন। সেই শাড়ি থেকে লাল-সাদা তাঁতের শাড়িটা পরব সপ্তমীর দিন। যেহেতু তাঁতের শাড়ি, সাজ থাকবে ছিমছাম। হাতভর্তি লাল কাচের চুড়ি, শাঁখা-পলা, সিঁথিতে সিঁদুর—সবই থাকবে।

কাজের ব্যস্ততায় পূজার কেনাকাটা ও প্রস্তুতি বিষয়ে উর্মিলা শ্রাবন্তী কর বলেন, শুটিংয়ের ফাঁকে মা ও শ্বশুরবাড়ির জন্য কেনাকাটা করছি। আমার বর শাড়ি উপহার দিয়েছেন। অষ্টমীতে পরব সেই সাদা-হলুদ শাড়ি। ভারী সাজে চুল কার্ল করে ছেড়ে দেব। সিঁথিতে সিঁদুর আর কুমকুমের টিপ সঙ্গে ভারী গয়না। নবমীতে অবশ্য সুতি সালোয়ার-কামিজ বেছে নেব। কোনো মেকআপই করব না। চোখে একটু কাজল আর ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক। চুল বেঁধে রাখব। গয়না বলতে সোনার চেইন আর কানে ছোট্ট পাথরের টপ।