কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশি নারী হাসিনা তার জন্মদাতা বাবা-মাকে খুঁজছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পেজের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ নামে একটি জনপ্রিয় বাংলাদেশি ফেসবুক গ্রুপও তার জন্মদাতা বাবা-মাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করছে।
হাসিনা কানাডিয়ান বাঙালী নারী। বর্তমানে তিনি কানাডার অন্টারিও’র টরন্টো শহরের বাসিন্দা। তার জন্ম ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের ঢাকায়।
জানা যায়, দুর্ভাগ্যবশত শিশুবস্থায়ই ১৯৭৭ সালে ‘ফ্যামিলিজ ফর চিলড্রেন’ (এফএফসি) নামক ঢাকার একটি কানাডিয়ান অনাথ আশ্রমে আশ্রয় হয় হাসিনার। ১৯৮০ সালে হাসিনার বয়স যখন তিন বছর, তখন কানাডিয়ান এক দম্পতি তাকে দত্তক নেয় । তারপর থেকেই সে পালিত অভিভাবকের কাছে কানাডায় বেড়ে উঠতে থাকে।
তিনি বর্তমানে তার জন্মদাতা পিতা-মাতাকে খুঁজে পেতে চান। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ তার এই লড়াইটি Finding Root for Hasina নামক একটি ফেইসবুক পেইজ থেকে চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সুদূর কানাডা থেকে বাংলাদেশে এভাবে খোঁজ করাটা তাঁর নিকট খুব সহজ বিষয় না হওয়ায় তিনি আগাতে পারেননি।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশের দুষ্প্রাপ্য ছবি সমগ্র’ নামে একটি জনপ্রিয় বাংলাদেশী ফেসবুক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক গিরিধর দে গ্রুপে যুদ্ধশিশু সম্পর্কিত একটি আর্টিকেলের মন্তব্য কলামে হাসিনার কয়েকটি মন্তব্য দেখেন। পরে তিনি হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
গিরিধর দে জানান, আমাকে ঘটনাগুলো তিনি অবগত করার পর আমি আমার সাধ্যমতো তার পিতা-মাতাকে খুঁজে পেতে বিভিন্নভাবে সাহায্যের চেষ্টা করেছি এবং এখনও করে যাচ্ছি।
হাসিনা জানিয়েছেন, ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে ফ্যামিলিজ ফর চিলড্রেন (এফএফসি) নামক এতিমখানায় সেসময় অনেক শিশুপাচারকারী হাজির হয়েছিলো এবং তাদের জন্মদাতা পিতামাতার সম্মতি না নিয়েই অনেককেই অবৈধভাবে গ্রহণ করা হয়েছিলো।
হাসিনা জানান, তিনি বাংলাদেশে আসতে চান। কিন্তু বর্তমানে করোনা মহামারির কারণে বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। তবে কোন প্রয়োজনে তথ্য পেতে বা জানাতে তাকে ভার্চ্যুয়ালি জুম’র মাধ্যমে পাওয়া যাবে।