ঈদের আনন্দে সপরিবারের নদীর তীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন এরশাদ আলী। স্মৃতি করে রাখবেন বলে, পাঁচ বছরের মেয়ে রাবেয়াকে বালুবাহী ভলগেটের ওপর দাঁড় করিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তুলছিলেন। হঠাৎ করেই নদীতে পড়ে যায় রাবেয়া। তারপর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না তাকে।
গতকাল বুধবার বিকাল ৫টার দিকে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ল্যাংড়া বাজার এলাকায় মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে। নিখোঁজ শিশুটির বাড়ি একই ইউনিয়নে। নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পরেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় রাবেয়ার পরিবারের নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শিশুটির পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ঈদ উপলক্ষে বুধবার বিকালে পরিবারের সবাই ল্যাংড়া বাজার এলাকার যমুনা নদীর তীরে ঘুরতে যায়। এ সময় রাবেয়ার বাবা এরশাদ আলী তাকে বালুবাহী ভলগেটের ওপর দাঁড় করিয়ে ছবি তুলছিলেন, হঠাৎ করেই সে নদীতে পড়ে যায়। স্রোত বেশি থাকায় পরিবারের সদস্যরা চেষ্টা করেও তার কোনো খোঁজ পায়নি।
ঘটনা শুনে পুলিশ এবং টাঙ্গাইল ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও সেখানে থাকা অসংখ্য ভলগেটের কারণে রাত ৯টার দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখা হয়।
টাঙ্গাইল ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পাওয়া মাত্রই টাঙ্গাইল ও ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শিশুটিকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কিন্তু অতিরিক্ত ভলগেট থাকায় উদ্ধার কাজে সমস্যা হয়।