রাজধানীর রামপুরায় পানির উপর তৈরি দোতলা টিনের বাড়ি ধসের ঘটনার ২৪
ঘণ্টা পরও নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে
পানির নিচে চলে যাওয়া ঘরগুলোতে আসবাবপত্র বেশি থাকায় ডুবুরিরা ঠিকভাবে
উদ্ধার কাজ চালাতে পারছেন না। দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে ।
এ ঘটনায় গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দুর্বল অবকাঠামোর কারণে দোতালা বাড়িটি ধসে পড়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা বলেন, পানির নিচে দেবে যাওয়া অংশে প্রায় ২০টি ঘর আছে। উদ্ধারের সুবিধার জন্য প্রতিটি ঘরকে আলাদা করে পানির নিচে ডুবুরি পাঠানো হচ্ছে। তবে ঘরগুলোতে এত বেশি আসবাবপত্র যে তারা ভালোভাবে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করতে পারছেন না।’
তিনি জানান, লাশ উদ্ধারের জন্য শুধু ডুবে যাওয়া ঘরের ভেতরে নয়, আশেপাশেও তল্লাশি চলছে।
স্থানীয়দের মতে দুর্ঘটনার সময় ঘরগুলোতে প্রায় ৩০ জন মানুষ ছিলেন। সে হিসাবে পানির নিচে এখনও ১০ থেকে ১২ জনের লাশ থাকার কথা।
নিখোঁজদের তথ্য দিতে রামপুরার ঝিলপাড়ে একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সকালে স্থানীয় এমপি রহমতউল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে জড়িতদের শাস্তির জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ ধসে পড়ে টিনের দোতলা বাড়িটি। ঘরগুলোতে বসবাসকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন পোশাক শিল্প কর্মী।
হাজীপাড়ার বৌবাজার এলাকায় ঝিলের উপর বাঁশের মাচায় ১০ ফুট পানির ওপর এক বছর আগে টিনশেড দোতলা এই বাড়িটি তৈরি করেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও ডিশ ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান চৌধুরী মনি। নিচ তলার ১০টি এবং দোতলার ১৪টি ঘরে থাকতেন শতাধিক মানুষ। প্রতি মাসে ঘর ভাড়া নেয়া হতো ৪ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা। ওই বাড়িতে যেতে হতো বাঁশের সাঁকো পাড় হয়ে।
ঢাকা জেলা প্রশাসক এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া জানিয়েছেন, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি ৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের দাফনের জন্য ২০ হাজার করে এবং আহতদের পরিবারকে চিকিৎসার জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে।