জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে কেনা রাজধানীর কাকরাইলের বাজে মৌজার ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ চার আসামিকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত।
এই মামলার রায়ে ট্রাস্টের নামে কেনা ওই জমি বাজেয়াপ্তেরও নির্দেশ দেন আদালত। ফলে কাকরাইলের ওই জমি এখন রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকবে।
এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘মূলত বাজে উদ্দেশ্য নিয়ে কাকরাইলের বাজে মৌজায় ওই জমি কেনা হয়েছিল। তা আদালতেও প্রমাণিত হয়েছে।’
‘‘এ রায়ের পর ওই জমি রাষ্ট্রের জিম্মায় থাকবে।’’
২০১০ সালের ৮ আগস্ট এই ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা লেনদেনের অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এই মামলার অন্য তিন আসামি হলেন, বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সাবেক এপিএস জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’র নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।
২০১৪ সালের ১৯ মার্চ মামলায় ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
তবে বিচার চলাকালীন তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের প্রতি বেগম খালেদা জিয়া অনাস্থা দিলে বিচারের জন্য পাঠানো হয় ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই আদালতে মামলাটি আড়াই বছর ধরে যুক্তিতর্কের পর্যায়ে ছিল।
শেষ পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়া যুক্তিতর্কে অংশ না নেয়ায় তার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। গত ১৬ অক্টোবর মামলাটির রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন বিচারক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান।