চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বাজির ঘোড়া হতে পারেন যারা

বিশ্বকাপ-২০১৯

বিশ্বকাপের মতো মেগা আসরে বরাবরই নজর থাকে সেরা খেলোয়াড়দের প্রতি। আলোচনা হয়ে থাকে সেরাদের ঘিরেই। তবে প্রতি আসরেই আলোচনার বাইরে থেকেও অনেকেই পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন। দ্যুতি ছড়িয়ে আলোকিত করেন বিশ্বমঞ্চ। এমন কয়েকজন সম্ভাব্য তারকা খেলোয়াড়কে নিয়েই এই আয়োজন।

মোহাম্মদ মিঠুন (বাংলাদেশ)
ব্যাট হাতে খুব একটা ধারাবাহিক নন মোহাম্মদ মিঠুন। তবে অসাধারণ কিছু করার সক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশি এ মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যানের। গত বছরের এশিয়া কাপ থেকে এখন পর্যন্ত ১৮ ওয়ানডেতে চারটি হাফসেঞ্চুরি, ৩২.২০ গড়ে ৪২০ রান করেছেন মিঠুন। মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশে ব্যাটিং সমস্যা সমাধানে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারেন হার্ডহিটার এ ব্যাটসম্যান।

ইমাম-উল হক (পাকিস্তান)
পাকিস্তানের টপঅর্ডার সমস্যা বেশ পুরনো। তবে ইমাম-উল-হকের অভিষেকের পর সেই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে ১৯৯২ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ওপেনিং সঙ্গী ফখর জামানের মতো হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান নন, তবে ব্যাটিং লাইনে নির্ভরতার প্রতীক ভাবা হচ্ছে ইমামকে। মাত্র ২৮ ম্যাচের ক্যারিয়ার, ৬টি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন তিনি। দ্বাদশ বিশ্বকাপের বড় তারকা হয়ে উঠতে পারেন উদীয়মান এ ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে ক্রিকেটের বর্তমান চার-ছক্কার বন্যার সঙ্গে হয়ত পুরোপুরি মানানসই নয় ইমামের ব্যাটিং। তবে লম্বা টুর্নামেন্টে হার্ডহিটিং ও বিগ ইনিংসের চেয়ে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সও কম গুরুত্বপূর্ণ হবে না।

শন মার্শ (অস্ট্রেলিয়া)
ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ ফেরায় শন মার্শের একাদশে জায়গা পাওয়াটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে। তবে একাদশে জায়গা পেলে দ্যুতি ছড়াতে পারেন অস্ট্রেলিয়ান এ ব্যাটসম্যান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ১৮ ম্যাচে ৮৫১ রান করেছেন। ফলে মার্শকে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলগুলোকে ভাবতেই হবে।

মুজিব-উর রহমান (আফগানিস্তান)
আফগানিস্তানের তারকা খেলোয়াড় বলতে রশিদ খান ও মোহাম্মদ নবীর নামই সবার আগে উচ্চারিত হয়। তবে ততোটা লাইমলাইটে না থাকলেও ইংল্যান্ড আসরে বড় তারকা হয়ে উঠতে পারেন মুজিব-উর রহমান। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ২৯ ম্যাচে ৫১ উইকেট নিয়েছেন এ আফগান স্পিনার। দ্বাদশ বিশ্বকাপে দারুণকিছু করার জন্য তরুণ উদীয়মান স্পিনার মুজিবের দিকেই তাকিয়ে থাকবে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির ক্রিকেটপ্রেমীরা।

মঈন আলি (ইংল্যান্ড)
একঝাঁক তারকায় ঠাসা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। জনি বেয়ারস্টো, জেসন রয়, জস বাটলার, জো রুট ও ইয়ন মরগান- স্বাগতিক দলে তারকার কমতি নেই। তবে মঈন আলির কথা বিশেষভাবে বলতেই হয়। ব্যাটিং ও কার্যকরী স্পিনে ইংল্যান্ডের আশা-ভরসার প্রতীক হয়ে উঠেছেন এ স্টাইলিশ ক্রিকেটার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ৩৮ ম্যাচে ৩২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ৪৯৭ রান করেছেন। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ রাঙাতে পারেন মঈন।

থিসারা পেরেরা (শ্রীলঙ্কা)
দ্বাদশ বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ৩৪ ম্যাচে ৪০ উইকেট নিয়েছেন এ শ্রীলঙ্কান তারকা। সেইসঙ্গে ১১৮.৭৯ স্ট্রাইকরেটে ৭৯৭ রান করেছেন। বিশ্বকাপে দ্যুতি ছড়ানোর যেন আগাম বার্তাও দিয়ে রেখেছেন পেরেরা। কার্যকরী বোলিংয়ের পাশাপাশি পাওয়ারহিটিং- বিশ্বমঞ্চে পাকা আসন করে নেয়ার সব গুণাবলিই রয়েছে লঙ্কান অলরাউন্ডারের।

আন্দিলে ফেলুকোয়ও (সাউথ আফ্রিকা)
সাউথ আফ্রিকা দলে আন্দিলে ফেলুকোয়ও পাকা আসন করে নিয়েছেন খুব বেশিদিন হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ২৬ ম্যাচে ৩৬ উইকেট নিয়েছেন। ব্যাট হাতেও মোটামুটি সফল সাউথ আফ্রিকান এ অলরাউন্ডার। ২৮.৩ গড়ে ২৮৩ রান করেছেন সময়টাতে। কঠিন চাপের মুখে কার্যকরী ইনিংস খেলতে সক্ষম তিনি। যে কয়জন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ভর করে আফ্রিকা প্রথম শিরোপার স্বপ্ন দেখছে, ফেলুকোয়ও তাদের মধ্যে অন্যতম।

মোহাম্মদ সামি (ভারত)
জাসপ্রিত বুমরাহ ও ভুবনেশ্বর কুমার নিশ্চিতভাবে ভারতীয় বোলিং আক্রমণের প্রথম ও দ্বিতীয় পছন্দ। তবে মোহাম্মদ সামি এ দুজনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে সক্ষম। ২০১৮ সালে ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর ১৩ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছেন। শুরুতে ব্রেক-থ্রু এনে দেয়ার পাশাপাশি ডেথ ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষ বোলারদের পরীক্ষা নিতে পারঙ্গম ভারতীয় পেসার। দ্বাদশ বিশ্বকাপে আলো কাড়তে পারেন সামি।